মিয়ানমার ছায়া সরকার ও মার্কিন প্রতিনিধির বৈঠক

আগের সংবাদ

ইএফডির দাম নিয়ে জটিলতা : দোকান নির্ধারণ করবেন ভ্যাট কর্মকর্তারা, বিপাকে পড়বেন ছোট ব্যবসায়ীরা

পরের সংবাদ

ফারুক হাসান, বিজিএমইএ সভাপতি > ক্রয়াদেশ বাড়লেও আয় বাড়ছে না

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, করোনা ভাইরাস মহামারির ধাক্কা সামলে পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। প্রচুর অর্ডার আসছে। ভালো দামও পাচ্ছি। দেনদরবার করে বেশি প্রাইস আদায় করে দিচ্ছি। গতকাল ভোরের কাগজকে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে; আমাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, আমরা পোশাকের বেশি দাম পাচ্ছি, তাতে কিন্তু আমাদের আয় বাড়ছে না। সুতাসহ সব ধরনের কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। এমনকি জাহাজ ভাড়াও বেড়েছে।
ফারুক হাসান বলেন, আগের তুলনায় আমরা দাম ভালো পাচ্ছি। তবে চেষ্টা করছি যেন আমরা আরো বেশি বেশি অর্ডার পেতে পারি। একই সঙ্গে পণ্যের দামও যেন উৎপাদন খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাড়ানো যায়।
তিনি বলেন, আমরা আর কম দামে কোনো পোশাক বিক্রি করব না। অর্ডার নেব না। সব রপ্তানিকারকদের এটা জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা শক্ত অবস্থানে থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। পোশাকের দাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের রপ্তানিকারকদের মধ্যে একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা ছিল। বায়াররা সেই সুযোগ নিয়ে কম দামে পোশাক কিনেছে। এখন আমরা সবাই একমত হয়েছি, আর কম দামে কোনো পোশাক রপ্তানি করব না।
বিজিএমইএর সদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের পোশাক মালিকদের বলেছি, পোশাক তৈরিতে যেন ভারসাম্য বজায় রাখে। কারণ কিছু কিছু আইটেমে আমাদের ওভার ক্যাপাসিটি আছে। তখনই কম দামে বিক্রির প্রতিযোগিতা শুরু হয়। যেমন, টিশার্ট সবাই করতে পারে। তাই সবাই শুধু টিশার্ট তৈরি না করে অন্য আইটেমেও গুরুত্ব দিতে বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি, যেন ওভার ক্যাপাসিটি না হয়, প্রডাক্ট ডাইভারসিফিকেশন করে টেক্সটাইলের মধ্যে আমাদের অনেক প্রোডাক্ট তৈরি করা বাকি আছে।
তিনি বলেন, মেনমেইড ফাইবার এর পণ্যের প্রতি গুরুত্ব দিতে বলেছি। মেনমেইড ফাইবারের রপ্তানি বাড়াতে সরকারের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা এ পণ্যের ওপরে কিছু ইনসেন্টিভের কথা বলেছি। গত দেড়-দুই বছর বেসরকারি খাতে কোনো নতুন বিনিয়োগ হয়নি। সুতরাং এখনই বড় সুযোগ। বিদেশি বিনিয়োগও আসবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে বিশেষায়িত গার্মেন্টস পার্ক তৈরির অগ্রগতি জানতে চাইলে ফারুক হাসান বলেন, চলতি বছর মার্চ মাসে মিরেরসরাই শিল্পপার্কে আমরা প্রায় তিনশ একর জায়গা নিয়েছি। তবে পোশাক শিল্প পার্কের কোনো কিছু এখনো পুরোপুরি তৈরি হয়নি। এ শিল্পনগরে গার্মেন্টস এবং গার্মেন্টস একসেসোরিজ খাতে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়েছি, যার ফলে প্রায় ৩ লাখ লোকের কর্মসংস্থান ও প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য উৎপাদনের সুযোগ তৈরি হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়