মিয়ানমার ছায়া সরকার ও মার্কিন প্রতিনিধির বৈঠক

আগের সংবাদ

ইএফডির দাম নিয়ে জটিলতা : দোকান নির্ধারণ করবেন ভ্যাট কর্মকর্তারা, বিপাকে পড়বেন ছোট ব্যবসায়ীরা

পরের সংবাদ

গোয়েন্দা সংস্থার সতর্কবাণী : ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আইএস-এর হামলা!

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আফগানিস্তানে সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করতে পারে এবং তাদের তা করার ইচ্ছাও আছে বলে ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের। গত মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসে দেয়া সাক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা নীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কলিন কাল এ কথা বলেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দুই দশকব্যাপী যুদ্ধে হেরে আগস্টে আফগানিস্তান থেকে পাতাতাড়ি গুটিয়ে চলে আসার পর এখনো যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে, কালের এই মন্তব্যে তেমনটাই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের নানা কর্মকর্তা আফগানিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলো নিয়ে তাদের শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া তালেবানের সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের ঘোর শত্রæতা আছে। যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে চলে আসার পর আইএসের একের পর এক আত্মঘাতী বোমা ও অন্যান্য হামলায় জর্জরিত দেশটির আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে তালেবানকে প্রচুর খাটতে হচ্ছে।
আফগানিস্তানে আইএস মূলত দেশটির সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর বোমা হামলা চালাচ্ছে। তারা এমনকি পূর্বাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদে তালেবান মিলিশিয়া বাহিনীর এক সদস্যেরও শিরñেদ করেছে। মার্কিন সিনেটের আর্মড সার্ভিসেস কমিটিকে দেয়া সাক্ষ্যে কাল বলেন, আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র চলে আসার পর আফগানিস্তানে আইএসের সঙ্গে তালেবানের কার্যকরভাবে লড়ার সক্ষমতা আদৌ আছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। আফগানিস্তানে দুই দশকের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে তালেবানের পাশাপাশি আইএস ও আল-কায়েদার মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধেও লড়তে হয়েছিল। কাল বলেন, আমাদের মূল্যায়ন হচ্ছে আইআইএসকে (আইএস) এবং তালেবান একে অপরের ঘোর শত্রæ। সুতরাং আইএসকে ধাওয়া করার ব্যাপারে তালেবানের প্রবল আগ্রহ থাকার কথা। কিন্তু তাদের সে সক্ষমতা আছে কিনা, তা দেখতে হবে।

আফগানিস্তানে আইএসের ‘কয়েক হাজার প্রশিক্ষিত সদস্য’ আছে বলে মার্কিন এ কর্মকর্তার ধারণা। নতুন তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেছেন, আইএস জঙ্গিদের হুমকি মোকাবিলা করা হবে। আফগানিস্তান অন্য দেশে হামলা চালানোর ঘাঁটি হবে না। সিনেটের সাক্ষ্যে কাল আফগানিস্তানে সক্রিয় আল কায়েদা নিয়েও কথা বলেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, তালেবানের সঙ্গে সখ্য থাকায় আল কায়েদা আরো জটিল সমস্যা তৈরি করেছে। এই সখ্যতার কারণেই ২০০১ সালে নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে আল কায়েদার হামলার পর আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তালেবানরাই আল-কায়েদা নেতাদের আফগানিস্তানে আশ্রয় দিয়েছিল।
কাল বলছেন, আফগানিস্তানের বাইরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর হামলা চালানোর সক্ষমতা ফের অর্জনে আল কায়েদার ‘এক থেকে দুই বছর’ লাগতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে আসা হুমকির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখবে, যার মাধ্যমে আল কায়েদা ও আইএসের মতো গোষ্ঠীগুলোর হুমকিকে শনাক্ত করা যাবে। কাল জানান, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এসব গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত ঘটানো যেন আইএস বা আল-কায়েদা কখনোই যুক্তরাষ্ট্রে হামলা চালানোর মতো সক্ষম হয়ে না ওঠে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কর্মকর্তা ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় আফগানিস্তানে সৈন্য উপস্থিতি না রেখে আল কায়েদা ও আইএসের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে শনাক্ত এবং তাদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানো খুবই কঠিন হবে বলে সতর্ক করেন। আইএস ও আল কায়েদার ‘টার্গেটগুলোতে’ হামলা চালাতে সক্ষম ড্রোনগুলোকে উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে পাঠাতে হচ্ছে। কাল জানান, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাঠানো সৈন্যদের জায়গা দিতে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী কোনো দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের চুক্তি হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়