চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা : চালকের সহকারী শাহীরুল এখন কোটিপতি

আগের সংবাদ

তিস্তার তাণ্ডবে লালমনিরহাটে পথে বসেছে হাজারো পরিবার

পরের সংবাদ

সালমান এফ রহমান : ব্লু-ইকোনমি থেকে ১০ হাজার কোটি ডলার রপ্তানি সম্ভব

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের সমুদ্রভিত্তিক অর্থনীতির বিপুল সম্ভাবনার সুযোগ নিতে দ্রুত ‘ব্লু-ইকোনমি পলিসি’ করার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বিশাল সমুদ্রের মালিকানা পেয়েও সে সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছে না। এর মূল কারণ পলিসিগত সহায়তার অভাব এবং এ খাতে বিনিয়োগ নেই। এ পর্যন্ত যা হয়েছে সবই আলোচনার টেবিলে রয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ব্লু-ইকোনমিতে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের নিয়ে আসতে হলে যৌথ বিনিয়োগ প্রয়োজন। আর সে বিনিয়োগের জন্য ব্লু-ইকোনমি পলিসি এখন সময়ের দাবি। তিনি আরো বলেন, সমুদ্র অর্থনীতি কাজে লাগিয়ে কয়েক বছরের মধ্যেই ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি সম্ভব।
গতকাল রবিবার মতিঝিলের ফেডারেশন ভবনে বেসরকারি ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘ব্লু-ইকোনমি : সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সালমান এফ রহমান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খোরশেদ আলম। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ও এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টা ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবুসহ সংগঠনটির অন্য পরিচালকরা।
বক্তব্যে সালমান এফ রহমান আরো বলেন, এ খাত থেকে আগামী কয়েক বছরেই ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা সম্ভব। বাংলাদেশের এক সময়ের উদীয়মান খাত জাহাজ শিল্পের অগ্রগতি কেন ধীর হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। তিনি বলেন, ব্লু-ইকোনমি খাত বিকাশে নীতি কৌশল ঠিক করতে এফবিসিসিআই ও বিডাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সামুদ্রিক সম্পদের বিশাল অঞ্চল লাভ করেছে। ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি সমুদ্র এলাকা এখন বাংলাদেশের। এর সঙ্গে রয়েছে ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশের সব ধরনের প্রাণিজ-অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, শুধু মাছ কিংবা খনিজ সম্পদ নয়, নিজেদের সীমানার সাগরকে ব্যবহার করে পাল্টে দেয়া যেতে পারে বাংলাদেশের পুরো অর্থনীতির চিত্র। সমুদ্র অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন, জাহাজ শিল্প, গভীর সাগরে মাছ ধরার উপযোগী জাহাজ নির্মাণ, কনটেইনার, ওষুধ, প্রসাধনীসহ নানা শিল্প বিকশিত হতে পারে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খোরশেদ আলম বলেন, দেশের সমুদ্র পথে জাহাজের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানিতে ৯ হাজার বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়। জাহাজের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানির মধ্যে মাত্র ১০ শতাংশ হচ্ছে নিজস্ব পরিবহনে। সমুদ্র পথে ৫০ শতাংশ পণ্য নিজস্ব জাহাজের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি করতে পারলে সাড়ে ৪ হাজার বিলিয়ন ডলার সঞ্চয় হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়