কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : রাজশাহীতে পশুপাখি ও উদ্ভিদ বাঁচাতে শব্দ নিয়ন্ত্রণের প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার ইমাম-খতিব ও ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত পৃথক দুটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়। প্রথমে বেলা ১১টায় নগরীর ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি মিলনায়তনে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিবদের নিয়ে, পরে বিকাল ৩টায় রাজশাহী কলেজ মিলনায়তনে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান।
সকালে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির উপপরিচালক ডা. আসেন আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হুমায়ুন কবির।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. আব্দুল মান্নান, পরিবার পরিকল্পনা রাজশাহীর পরিচালক মাহবুবুল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সাবিহা সুলতানা, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আসাদুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া জোনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার সাজিদ হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট মিজানুর রহমান প্রমুখ।
বিকালে রাজশাহী কলেজ সভাপতি প্রফেসর আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীর।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হুমায়ুন কবির, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার, এডিশনাল ডিআইজি জয়দেব ভদ্র, আরএমপি ট্রাফিকের ডিসি অনির্বাণ চাকমা প্রমুখ।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, উচ্চ শব্দের কারণে হ্রাস পাচ্ছে মানুষের শ্রবণশক্তি।
বিরূপ প্রভাব পড়ছে সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে। মানবদেহে কানের ২০ ভাগ রোগের ১২ ভাগই হয় শব্দ দূষণের প্রভাবে। এটি নীরব ঘাতক।
ইমামদের উচিত বিষয়টি নিয়ে মসজিদে বক্তৃতা দেয়া এবং মুসল্লিদের শব্দ দূষণরোধে সচেতন করা। শব্দ দূষণের কারণে শুধু মানুষ নয়, পশুপাখি ও উদ্ভিদেরও ক্ষতি হয়।
এসব বাঁচাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে শব্দ। মসজিদের ইমাম, খতিব ও রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীরা শব্দ দূষণ প্রতিরোধ নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করার প্রতিশ্রæতি দেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।