চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা : চালকের সহকারী শাহীরুল এখন কোটিপতি

আগের সংবাদ

তিস্তার তাণ্ডবে লালমনিরহাটে পথে বসেছে হাজারো পরিবার

পরের সংবাদ

পরীক্ষার্থীদের মুখে হাসি : সারাদেশে গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জবি প্রতিনিধি : গুচ্ছ পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ¯œাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য মানবিক বিভাগের (বি-ইউনিট) পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রবিবার সারাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি কেন্দ্রে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা ফলাফলের জন্য মিশ্র অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
সেলিম ভূঁইয়া একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (দৃষ্টি প্রতিবন্ধী) শিক্ষার্থী। গতকাল গুচ্ছের সবচেয়ে বড় কেন্দ্র জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসেন। এর আগেই বিশেষ ব্যবস্থাপনায় শ্রæতি লেখকের মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য আবেদন করেন তিনি।
পরীক্ষা কেমন হলো জানতে চাইলে হাসিমুখে জানান, পরীক্ষা ভালো দিয়েছি। আমি শ্রæতি লেখকের সহায়তায় পরীক্ষা দেয়ার জন্য আবেদন করায় কর্তৃপক্ষ তা ব্যবস্থা করে দেন। এভাবে সহায়তা পেলে আমরাও ভবিষ্যতে ভালো করতে পারব। এখন ফলাফলের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে এ হাসিমুখ ধরে রাখতে চান বলে জানান সেলিম। তার মতো বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন আরো দুইজনকে (একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ও একজন গর্ভবতী) বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা নেয়া হয়। তারাও পরীক্ষা ভালো হয়েছে ফলাফলেও ভালো কিছু হবে বলে হাসিমুখে জানান। একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার ভোগান্তি হবে না বলেও স্বস্তি প্রকাশ করেন তারা।
পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করে গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, প্রতিবন্ধকতায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের আমরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করি। এসব শিক্ষার্থীর মতো অন্যরাও যাতে অনুপ্রাণিত হয় সেজন্য আমরা বিশেষ ব্যবস্থাপনায় তাদের পরীক্ষা নিয়েছি। এছাড়া ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে যে পরীক্ষা হচ্ছে এতে শিক্ষার্থীরা সুফল পাচ্ছে বলে জানান তিনি।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ‘বি ইউনিট’-এ মোট আবেদনকারীর ৯০% উপস্থিত ছিল বলে ভোরের কাগজকে নিশ্চিত করেন গুচ্ছ ভর্তি-সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোনাজ আহমেদ নূর।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত ২২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। পরীক্ষার জন্য মনোনীত ৬৭ হাজার ১১৭ জনের মধ্যে ৯০ ভাগ উপস্থিত ছিল বলে আমরা তথ্য পেয়েছি।
গুচ্ছে অংশগ্রহণকারী ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়