চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা : চালকের সহকারী শাহীরুল এখন কোটিপতি

আগের সংবাদ

তিস্তার তাণ্ডবে লালমনিরহাটে পথে বসেছে হাজারো পরিবার

পরের সংবাদ

ঋণ শোধ করতেই তিন বছরের আফিয়াকে অপহরণ করে রানা

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন নিয়ে এক যুগ আগে জমি বিক্রি ও ঋণ করে দুবাই যান রানা আহমেদ বাকী। কিন্তু কাগজপত্র সঠিক না থাকায় মাস না পেরুতেই সে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে উল্টো ২৩ দিন জেল খেটে জাকাত ভিসায় দেশে ফেরেন তিনি। এরপর রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ শুরু করেন। এই অবস্থায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না রানা। পরে ঋণের টাকা পরিশোধে প্রতিবেশীর তিন বছর বয়সি শিশু আফিয়াকে অপহরণ করে সে।
অপহরণকারী রানা আহমেদ বাকী গ্রেপ্তারসহ অপহৃত শিশুকে উদ্ধারের ঘটনায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাব-৪ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক। গতকাল রবিবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
র‌্যাব-৪ এর সিও বলেন, গত ২১ অক্টোবর দুপুর ১টার দিকে ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন পল্লীবিদ্যুৎ, কবরস্থান রোড এলাকা থেকে ৩ বছরের শিশু আফিয়াকে অপহরণ করা হয়। ঘটনার দিনই অপহরণকারী মোবাইল ফোনে শিশুটির বাবা-মায়ের কাছে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-৪ এর গোয়েন্দা দল। আভিযানিক দল প্রথমে অপহরণকারীর নিজ জেলা পাবনা ও শ্বশুর বাড়ি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় অভিযান চালায়। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, অপহরণকারী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানায় দুর্গম চরাঞ্চলে অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত শুক্রবার সকাল ৯টার থেকে গতকাল রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে একপর্যায়ে থানার ১০ নং কৈজুরি ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডের বাঁধ সংলগ্ন স্লুইস গেট এলাকার একটি বাসা থেকে অপহৃত শিশু আফিয়াকে উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণকারী রানা আহমেদ বাকীকে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অপহরণকারী রানা আহমেদ দুই বছর ধরে আশুলিয়া থানাধীন পল্লীবিদ্যুৎ কবরস্থান রোড এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। পেশায় রিকশাচালক রানা বেশিরভাগ সময় রাতে রিকশা চালাতেন। দিনে বাসায় থাকতেন। মাঝে মধ্যে স্থানীয় একটি কয়েল ফ্যাক্টরিতেও কাজ করতেন। ভিকটিম শিশুর বাবা আবুল কালাম আজাদ (২৮) ও মা সোনিয়া বেগম (২৭) দুজনই পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। এ জন্য দীর্ঘদিনের পরিচিত আনোয়ারা নামে এক নারীর বাসায় শিশু আফিয়াকে রেখে যেতেন তারা। আনোয়ারার পাশের বাসায় ভাড়া থাকতেন রানা। সেই সুবাদে ভিকটিম শিশুর সঙ্গে মামা পরিচয়ে মিশতেন রানা। এ সুযোগকেই কাজে লাগায় সে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়