নানা আয়োজনে প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন

আগের সংবাদ

লো স্কোরিংয়ের রোমাঞ্চকর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার জয়

পরের সংবাদ

পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে…

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পাঁচ বছর পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। ২০১৬ সালে ভারতের অনুষ্ঠিত হয়েছিল ষষ্ঠ। ২০১৯ সালে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর করোনার দীর্ঘ ধকল কাটিয়ে মাঠে ফিরছে আইসিসির বড় কোনো ইভেন্ট। তবে ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা অনেক তারকাই ফিরছেন না মাঠে। তাদের পায়ের চিহ্ন পড়বে না আর ২২ গজের পিচে। ক্রিকেট মাঠের তারকাদের অনেকেই অবসরে, আবার অনেকেই স্কোয়াডে জায়গা না পেয়ে খেলতে পারছেন না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসরটি। সে তালিকায় আছেন বাংলাদেশের দুই তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তামিম ইকবাল।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদি, ভারতের সফল অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনির থাকছেন এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তাছাড়া শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার লাসিথ মালিঙ্গা, দুই অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও থিসারা পেরারা নেই দলের সঙ্গে। দক্ষিণ আফ্রিকার চার ক্রিকেটার ইমরান তাহির, ফাফ ডু প্লেসি, জিন পল ডুমিনিও আছেন সে তালিকায়। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান রস টেইলর, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্লোস ব্র্যাথওয়েট গত বিশ্বকাপে খেললেও থাকছেন না এই বিশ্বকাপে। তামিম বাদে এই ক্রিকেটারদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা যাবে না আর ব্যাটে বলে মাতাতে। তবুও টি-টেয়েন্টি বিশ্বকাপে এই তারকারা মিশে থাকবেন কিছু স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে।
মাশরাফি বিন মুর্তজা : সাত সাতটি অস্ত্রোপচারের পরেও কেউ ক্রিকেট খেলা চালিয়ে গেছেন, সেটা একমাত্র মাশরাফিই পারেন। ২০১৪ সালে দলের দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার পর বাংলাদেশকে বেশ কিছু সাফল্য এনে দেন তিনি। ২০১৫ সালে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাশরাফি নেতৃত্ব দিলেও খুব বেশি যেতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ওই আসরে ম্যাশের সেরা মুহূর্ত বলা যায় নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের তৃতীয় ম্যাচ। ১৫৪ রানের লক্ষ্যে নেমে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল ইউরোপের দেশটি। কিন্তু মাশরাফি সেই ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে এক উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে ৮ রানের জয় এনে দেন। ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে অবসর নিয়েছেন তিনি।
ইমরান তাহির : বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির ২০১৪ ও ২০১৬ আসরে মোট ৯টি ম্যাচ খেলেছেন। তবে একটি ম্যাচেও উইকেট শূন্য থাকেননি এই লেগ স্পিন জাদুকর। মাত্র দুই আসর খেলা ইমরান তাহির বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় ১৮ উইকেট নিয়ে ১৮তম স্থানে অবস্থান করছেন।
তাছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার আরো দুই কিংবদন্তি ফাফ ডু প্লেসি ও জিন পল ডুমিনি ও থাকছেন না এবারের বিশ্বকাপে। দেশটির আরেক কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ডেল স্টেইন ও বিশ্বকাপের পূর্বে বিদায় নিয়েছেন অবসর নিয়েছেন সব ধরনের ক্রিকেট থেকে।
শহীদ আফ্রিদি : টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই শহিদ আফ্রিদি টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতে নেন। পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। বিশ্বকাপে ৩৪ ম্যাচ থেকে তার উইকেট সংখ্যা ৩৯। তাছাড়া ৫৪৬ রান নিয়ে তিনি ব্যাটারদের তালিকায় আছেন ১৫-তে। বিশ্বকাপে তার বড় অর্জন দলের হয়ে ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডের মাটিতে শিরোপা জয়। বিশ্বকাপে সেরা অলরাউন্ডারের তালিকায় আফ্রিদি ২০১৮ সালের ৩১ মে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন।
মাহেন্দ্র সিং ধোনি : ভারতের সফলতম অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে জিতিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা। শুরুটা করেছিলেন টি-টোয়েন্টি দিয়ে। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় ধোনির নেতৃত্বাধীন ভারত। ২০১৬ সালে দলের হয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ ম্যাচের ৪টিইতেই অপরাজিত ছিলেন ধোনি। বিশ্বকাপে ধোনির রান সংখ্যা ৫২৯, উইকেটরক্ষকদের মধ্য সর্বোচ্চ ডিসমিসালের (৩২) মালিকও তিনি।
লাসিথ মালিঙ্গা : ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ট্রফি এনে দেন লাসিথ মালিঙ্গা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে ৩১ ম্যাচ থেকে ৩৮ উইকেট শিকার করে দ্বিতীয় সেরা বোলার লাসিথ মালিঙ্গা। বিশ্বকাপে মালিঙ্গার সেরা বোলিং ফিগার ২০১২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে তিনি ৩১ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করে দলকে ১৯ রানের জয় পেতে সহযোগিতা করেছিলেন।
২০২০ সালের ৬ মার্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষবার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন মালিঙ্গা।
অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার সোনালি যুগের দুই অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও থিসারা পেরারা থাকছেন না এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের সময় এই দুজন লংকান ব্যাটিং ও বোলিংয়ে অবদান রাখেন।
-ইহান হোসেন

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়