রাশিয়ার একাতেরিনবার্গে ভেজাল মদপানে মৃত্যু ১৮

আগের সংবাদ

মরুর বুকে গতির ঝড় অব্যাহত

পরের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধারা : কুমারখালীতে যাচাই-বাছাইয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাবীব চৌহান, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) থেকে : কুমারখালীতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার উপজেলা পরিষদ গেট চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ‘গ’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া মুক্তিযোদ্ধারা। সংবাদ সম্মেলনে ‘গ’ তালিকার ১০ জন স্বাক্ষরিত একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কুমারখালীতে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে প্রজ্ঞাপনবহির্ভূত কাজ করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষের সাক্ষী উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও তাদের সরাসরি সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি এবং সপক্ষের সাক্ষীদের লিখিত সাক্ষ্য ও স্বাক্ষরের মূল্যায়ন করা হয়নি।
‘গ’ তালিকার মুক্তিযোদ্ধারা আরো অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজে দায়িত্ব পালন না করে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দিয়ে দায়িত্ব পালন করিয়েছেন। এতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা ‘গ’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এবং যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াটিই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সেই সঙ্গে যাচাই-বাছাই কমিটি মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অসৎ আচরণ করেছেন বলেও অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্পূর্ণ ও ত্রæটিপূর্ণ (গেজেট, নম্বর, নাম, জন্মতারিখ, বাবা ও মায়ের নাম ইত্যাদি) তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানহানি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগের যাচাই-বাছাই কমিটির ‘ক’ তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের এবার ‘গ’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সে কারণে এ যাচাই-বাছাই কমিটির ফলাফল বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করার কথা হোক। অন্যথায় এ কমিটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেন তারা।
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে কী ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদ হোসেন বলেন, শুনেছি টাকার বিনিময়ে ও স্বজনপ্রীতি করে তালিকা করা হয়েছে। তবে আমাদের কাছে কেউ টাকা দাবি করেননি এবং আমরা কাউকে কোনো টাকা-পয়সা দেইনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক বিতান কুমার মণ্ডল বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ে কোনো অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি হয়নি।
জামুকার নির্দেশনা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই হয়েছে। তবুও কারো সন্দেহ হলে তাদের আপিল করার সুযোগ আছে।
তিনি আরো বলেন, যাচাই-বাছাই কমিটিতে সমাজসেবা কর্মকর্তা ছিলেন না। তিনি শুধু নথিপত্র সংরক্ষণ ও সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এ সময় ‘গ’ তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল বারী, গনি উদ্দিন, আসম ওয়াহেদ পান্না, সরদার আব্দুল খালেক, মো. আজিজুর রহমান, মনছুর আলীসহ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হাসান মাহমুদ, রেজাউল ইসলাম রেজাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়