রাশিয়ার একাতেরিনবার্গে ভেজাল মদপানে মৃত্যু ১৮

আগের সংবাদ

মরুর বুকে গতির ঝড় অব্যাহত

পরের সংবাদ

নেতৃত্বে সাবেক বিচারপতি মানিক : ইভ্যালি পরিচালনায় ৫ সদস্যের পর্ষদ গঠন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে চেয়ারম্যান করে পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। পর্ষদে সদস্য হিসেবে আছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. রেজাউল আহসান, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে থাকছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন। গতকাল সোমবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী ৩০ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ রেখে এ সময়ের মধ্যে পর্ষদকে বৈঠক করে অগ্রগতি জানাতে বলেছেন আদালত। বিচারক বলেন, কোম্পানি সংক্রান্ত ফৌজদারি অপরাধের বিচার প্রচলিত আইন অনুযায়ী হবে। এ আদালত শুধু কোম্পানি সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখবে।
আদালতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাছুম ও সৈয়দ মাহসিব হোসেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল।
এদিকে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনায় গঠিত বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, আমি মাত্র খবর পেলাম আমাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। এখনো আমি জিনিসটা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি। কমিটির অন্য যে চারজন সদস্য রয়েছেন তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বিজ্ঞ চার সদস্য যদি একমত হন, তাহলে আমরা সবাই মিলে ইভ্যালিকে একটি লাভজনক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের জন্য চেষ্টা করব। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান

ইভ্যালির সব নথি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইভ্যালির নথিপত্র দাখিল করতে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মসকে নির্দেশ দেয়া হয়। সে আদেশের ধারাবাহিকতায় গত ১১ অক্টোবর ইভ্যালির যাবতীয় নথি হাইকোর্টে দাখিল করে জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ। তবে সর্বশেষ অডিট রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা থাকলেও ২০১৯ সাল পর্যন্ত অডিট রিপোর্ট হাইকোর্টে দাখিল করে ইভ্যালি।
প্রসঙ্গত, একজন ক্রেতা ইভ্যালিতে পণ্য অর্ডার করার পাঁচ মাস পরও তা বুঝে না পাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর, ই-ক্যাব, ভোক্তা অধিকারে বারবার অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতে কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি করে ইভ্যালির সব ধরনের সম্পদ বিক্রি-হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত। একইসঙ্গে ইভ্যালিকে কেন অবসায়ন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিস জারি করেন আদালত।
আবেদনে ইভ্যালি লিমিটেড, রেজিস্ট্রার জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ এন্ড ফার্মস, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, কনজুমার রাইটস প্রটেকশন ব্যুরো, নগদ, বিকাশ, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, ই-ক্যাব এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, বেসিস, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য সচিবকে বিবাদী করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়