রাশিয়ার একাতেরিনবার্গে ভেজাল মদপানে মৃত্যু ১৮

আগের সংবাদ

মরুর বুকে গতির ঝড় অব্যাহত

পরের সংবাদ

আনন্দবাজার পত্রিকা : হামলার পেছনে আইএসআই-র ইন্ধন!

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় মৌলবাদী দুষ্কৃতিকারীদের হামলার পেছনে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই সক্রিয় ছিল বলে জানা গেছে। ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সাম্প্রতিক হাঙ্গামার পিছনে পাকিস্তানের হাত থাকার সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের একাংশ। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তার বরাতে এতে বলা হয়, তালেবান জঙ্গিরা কাবুল দখলের পরে ঢাকাতেও সক্রিয়তা বেড়েছে আইএসআই ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের। যেভাবে গুজব ছড়ানো হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে দুষ্কৃতিদের রাস্তায় নামিয়ে দেয়া হয়, তাতে স্পষ্ট যে বিভিন্ন জায়গায় আগেই তাদের জড়ো করে রাখা হয়েছিল। হেফাজতে ইসলামের একাংশ এবং জামায়াতে ইসলামীর মতো কয়েকটি মৌলবাদী সংগঠনকে ব্যবহার করে আইএসআই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি পুলিশের নিম্ন স্তরের ভূমিকাতেও কিছুটা বিভ্রান্ত গোয়েন্দারা। আইএসআই সেখানেও অনুপ্রবেশ করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। শেখ হাসিনা সরকারের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোও গত রবিবার এক বিবৃতিতে অভিযোগ করে, মৌলবাদীদের হামলা রোধে পুলিশ-প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি। মণ্ডপগুলোতে এবার কোনো পাহারাও ছিল না।
গত মঙ্গলবার কুমিল্লায় মৌলবাদীরা ভাঙচুর করার পরদিনই ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের অন্তত এক ডজন জেলায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার রাতে বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী খানিকটা কড়া বার্তাও দেন। সাম্প্রতিক মৌলবাদী হামলা ও হিংসাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে আগেই জানিয়েছিল দিল্লি। কিন্তু ভারতের স্বার্থ যে এর সঙ্গে যুক্ত, তাতে সন্দেহ নেই। কারণ বাংলাদেশের এই ঘটনা যেমন ভারতে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে, পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের একাংশ ভারতে আশ্রয় নেয়ারও চেষ্টা করতে পারেন। অতীতেও বারবার এটা ঘটেছে। এর আগে শনিবারই দোরাইস্বামীর সঙ্গে কথা বলে তার উদ্বেগ জানিয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। ভারতের কিছু রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনও দিল্লির কাছে এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান নেয়ার দাবি জানায়। ঢাকার আশ্বাস সত্ত্বেও প্রতিদিনই যেভাবে বাংলাদেশের কোথাও-না-কোথাও হামলা হচ্ছে, সে বিষয়টি শাসক দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতার কাছে তুলে ধরেন দোরাইস্বামী। অন্যদিকে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারকে বিপাকে ফেলতে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও মৌলবাদীরা মিলে এই চক্রান্ত করেছে। পুলিশ-প্রশাসন কঠোর ভূমিকা নিয়েছে। তবে ষড়যন্ত্রের খবর কেন গোয়েন্দারা আগাম জানতে পারল না, হামলার খবর পেয়েও পুলিশ কেন সব ক্ষেত্রে দেরিতে পৌঁছাল- এসব প্রশ্ন মানুষের মনে খেলা করছে বলে কাদের জানান দোরাইস্বামী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়