এ মাসের ১৫ দিনে ডেঙ্গু রোগী ছাড়ালো ৩ হাজার

আগের সংবাদ

ভস্মীভূত হিন্দুপল্লীজুড়ে আতঙ্ক : মূল হোতাসহ ৪৬ জন গ্রেপ্তার, থানায় দুই মামলার প্রস্তুতি, প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ > সাম্প্রদায়িক হামলা

পরের সংবাদ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৮, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিন মজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ চরম কষ্টে দিন পার করছে। বাজারে চাল, ডাল, তেল, লবণ, পেঁয়াজ, শাকসবজি তথা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি। নিম্নআয়ের মানুষ যা আয় করছে, তার পুরোটাই জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা ইত্যাদির জন্য ব্যয় করার মতো অর্থ তাদের হাতে থাকছে না। আয়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। কারণ একটাই, তা হচ্ছে বাজারের ওপর সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ ও জোড়ালো ভূমিকা এখনো চোখে পড়ার মতো না।
প্রায় মাসখানেক ধরে দ্রব্যমূল্যের এমন ঊর্ধ্বগতিতে সম্প্রতি সরকারি উদ্যোগ, পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি, আলোচনা-সমালোচনা চললেও এখন পর্যন্ত বাজারে ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমাচ্ছেন না, বরং অনেক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী গুদামজাত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এমনকি দেশে নতুন পেঁয়াজ আমদানি হলেও, বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠলেও দাম কমছে না। শুধু পেঁয়াজ নয়, বাজারে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া। চাল কেজি প্রতি ৬০-৭০ টাকার মধ্যে, পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০-৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি ১৫০ টাকা, ডাল, তেল, লবণ, শাকসবজির দাম দিন দিন নিম্নবৃত্ত, মধ্যবৃত্ত ও সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বর্তমানে সব থেকে বেশি কষ্টকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন নিম্নবিত্ত, অবসরপ্রাপ্ত সৎ সরকারি কর্মচারী, খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। যে দেশের লোকজনকে মাছে-ভাতে বাঙালি বলা হয় অথচ সেই দেশেই শুরুতে মাছ আর চালের বাজারে লাগে আগুন। মাংস তো নিম্নবৃত্ত আর খেটে খাওয়া লোকজন কোনো উপলক্ষ ছাড়া খেতেই পারে না। বাজারের ওপর সরকারের তেমন কোনো নিয়ন্ত্রণ এখনো চোখে পড়ার মতো না। ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে। একবার যে পণ্যের দাম বাড়ে, তা আর সহজে কমে না।
ইলিশ মাছ বাঙালির একটি প্রিয় খাদ্য। কিন্তু বহু রপ্তানিকারক দেশের চাহিদা মিটাতে গিয়ে বিভিন্ন দেশে ইলিশ রপ্তানি করে। ফলে দেশীয় চাহিদা আর মিটানো সম্ভব হয় না এবং ইলিশের দাম বেশিরভাগ সময় চড়া থাকে। সাধারণ ক্রেতারা পছন্দের এ পণ্যটি ক্রয় করতে পারে না, সাধ থাকলেও সাধ্যে কুলায় না। এ ক্ষেত্রে সরকারের প্রতিটি পণ্যের রপ্তানির একটা নির্দিষ্ট সীমা নির্ধারণ করে দেয়া উচিত। বাজারে অধিক পরিমাণ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ করে মনিটরিং সেলের মাধ্যমে বাজার মূল্য নির্ধারণ করে দিয়ে প্রতিনিয়ত বাজার দর নিয়ন্ত্রণ রেখে সাধারণ দিনমজুর ও নিম্নবৃত্ত ও মধ্যবৃত্তের নাগালের মধ্যে আনার জন্য সরকার ও প্রশাসনের কাছে সাধারণ জনগণের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে জোর দাবি জানাচ্ছি। দিনমজুর, নিম্নবৃত্ত ও সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ পোহাতে ন্যায্যমূল্যে অতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী শহর ও গ্রাম-গঞ্জে পৌঁছানোর জোর দাবি জানাচ্ছি। এতে সাধারণ জনগণের দুঃখ কিছুটা হলেও লাঘব হবে। আশা করছি সরকার স্বল্প সময়ের মধ্যে সবকিছুর দাম আগের চেয়ে আরো কম দামে নিয়ে আসতে সক্ষম হবে।

এস এম মাঈন উদ্দীন রুবেল : কবি ও লেখক
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়