চট্টগ্রাম অফিস : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে কমনওয়েলথ দেশগুলোর পক্ষে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করা ভারতীয় সৈন্যদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশটির হাইকমিশনের ঢাকা ও চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা। ভারতীয় হাইকমিশনের ঢাকার প্রতিনিধি ছাড়াও চট্টগ্রামের সহকারী হাইকমিশনারও এ সময় ছিলেন। গতকাল রবিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ওয়ার সিমেট্রিতে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী এবং হাইকমিশনের প্রতিনিধি দুজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে হাইকমিশন তাদের দেশের সাহসী সন্তানদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আরাকানে অপারেশন পরিচালনার জন্য চট্টগ্রামের গভীর নৌবন্দর একটি উৎকৃষ্ট ঘাঁটি এবং একটি উল্লেখযোগ্য হাসপাতাল কেন্দ্রও ছিল। মূলত হাসপাতালের কর্মীদের জন্য তৈরি সমাধিস্থলটি বেশ কয়েকটি বিচ্ছিন্ন স্থান থেকে মরদেহ সৎকারের জন্য স¤প্রসারণ করা হয়েছিল। এখানে ৭৫১টি যুদ্ধসমাধি রয়েছে, এর মধ্যে ১৪ জন নাবিক, ৫৪৫ জন সৈন্য এবং ১৯৪ জন বিমানবাহিনীর সদস্য। এছাড়া এই যুদ্ধসমাধিতে বিশ্বযুদ্ধের নয়, এমন চারটি সমাধিও আছে। এখানে যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পূর্ব আফ্রিকা, পশ্চিম আফ্রিকা, বার্মা (মিয়ানমার), নেদারল্যান্ডস, জাপান এবং অবিভক্ত ভারতের সৈন্যদের সমাধি আছে। অবিভক্ত ভারতের ২১৪ জনের সমাধির মধ্যে ১০ জনের বেশি রয়েছেন, যারা বর্তমান বাংলাদেশের অধিবাসী।
এসব ব্যক্তি ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত অক্ষশক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। সমাধিস্থলের প্রবেশদ্বারে চট্টগ্রাম স্মৃতিসৌধ আছে, যা রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভি এবং মার্চেন্ট নেভির ৬ হাজার ৪৬৯ জন নাবিকদের স্মরণ করে, যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সমুদ্রে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন।
হাইকমিশন বলছে, স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনের সঙ্গে ভারত শ্রদ্ধার সঙ্গে সেসব সাহসী নারী-পুরুষকে স্মরণ করছে, যারা আগামীর জন্য নিজেদের বর্তমানকে বিসর্জন দিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতীয়দের আত্মত্যাগ মিত্র দেশগুলোর বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ভারতীয় সৈন্যরা যুদ্ধের সমস্ত ক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।