গুলিস্তানে বাস উল্টে ২ কাবাডি খেলোয়াড় আহত

আগের সংবাদ

মণ্ডপে হামলার নেপথ্যে কারা

পরের সংবাদ

হাইব্রিড কাজে বাড়ছে থ্রেট মেইলের সংখ্যা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৭, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সা¤প্রতিক এক প্রতিবেদন বলছে, কেবল গত সেপ্টেম্বরে প্রতিদিন এ ধরনের ১০ কোটি ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। মহামারী-পূর্ব সময়ের চেয়ে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট বা নেটওয়ার্কে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বেড়েছে ২ দশমিক ৪ গুণ। নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট কিসকো প্রকাশিত হাইব্রিড ওয়ার্ক ইনডেক্সে এ তথ্য উঠে এসেছে। সেখানে বলা হয়, এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে নিরাপত্তা অবকাঠামোকে আরো গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। এমন ব্যবস্থা করতে হবে যেন এটি ব্যবহারকারীদের জন্য সহজগম্য হয়। কিন্তু অপব্যবহারকারীদের নাগালের বাইরে থাকে। ই-মেইলের জন্য যেসব বিষয় হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় সেগুলো হলো স্প্যামের মাধ্যমে ম্যালওয়্যার ডেলিভারি, ই-মেইল সার্ভিসে অথেনটিকেশন অ্যাটাক, ঝুঁকিপূর্ণ ই-মেইল সার্ভিস ব্যবহার করা ইত্যাদি। অনেক থ্রেট মেইল ক্লিক করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়া সম্ভব হয়। চুরি হতে পারে ওই কম্পিউটারে থাকা জরুরি নানা তথ্যও। যদিও বাড়িতে বসে কাজ করা কর্মীর জন্য তুলনামূলক ভালো, কিন্তু এর ফলে প্রযুক্তিগত নানা সমস্যারও সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে যাদের অফিসের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কাজ করতে হয়, তাদের জন্য। কারণ একেক কর্মী একেক স্থান থেকে কাজ করলে অনেক সময় তা নেটওয়ার্কের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। যদিও বিভিন্ন স্থানে ধীরে ধীরে কভিড পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। অনেক প্রতিষ্ঠানই কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, অফিসে ফিরে কাজ করতে রাজি না হলে তারা চাকরি হারাতে পারেন। কারণ, অনেক প্রতিষ্ঠানই কর্মীদের ফিরিয়ে এনে কাজ করাটাকেই নিরাপদ মনে করছেন। কিসকোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চাক রবিনস বলেন, আমরা আসলেই একটি অদ্ভুত সময়ে বাস করছি। এখন কাজের নতুন সংজ্ঞা দেয়ার সময় এসেছে। সারা বিশ্বের কর্মীরা এখন এমন একটি কাজের পরিবেশ চায়, যেখানে তারা নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করতে পারবে। এখন বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতাদের দায়িত্ব হলো কিভাবে তার কর্মীদের সর্বোচ্চ সহায়তা দেয়া যায়, কিভাবে তাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চটুকু আদায় করা যায়। তা তারা যেখানে বসেই কাজ করুক না কেন। সেজন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থাও প্রতিষ্ঠানগুলোকেই করতে হবে। জরিপে অংশ নেয়া বেশির ভাগ কর্মীই বলেছেন, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সুস্থতার সঙ্গে সঙ্গে সুবিধাজনক কাজের ব্যবস্থা চান তারা। আবার বাড়িতে বসে কাজ করতে গিয়ে কারিগরি সমস্যার মুখেও পড়তে হয় তাদের। গবেষণায় দেখা যায়, মহামারীর আগে মিটিংয়ে সংযুক্ত হওয়ার জন্য ৯ শতাংশ মানুষ মোবাইল ব্যবহার করতেন। মহামারী শুরুর পর তা ২৭ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রতি মাসে কিসকো ওয়েবেক্স ব্যবহার করে ৬ কোটি ১০ লাখ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮২ শতাংশ বলছেন, মহামারীর আগের সময়ের চেয়ে মিটিংয়ের সংযোগ পেতে তাদের সমস্যা হয়। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত নেটওয়ার্ক-সংক্রান্ত সমস্যার মাত্র ৫ শতাংশের জন্য দায়ী ক্লাউড প্রোভাইডাররা। বাকি ৯৫ শতাংশ সমস্যার দায় আইএসপি নেটওয়ার্কগুলোর।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়