সারাদেশে পূজামণ্ডপে হামলা : চাঁদপুরে সংঘর্ষে নিহত ৩

আগের সংবাদ

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টার্গেট কী? প্রথম ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ-সাকিবের মাঠে নামা নিয়ে দোটানা

পরের সংবাদ

মিরসরাইয়ে ট্রিপল মার্ডার : সম্পত্তি না দেয়ায় বাবা-মা ও ভাইকে জবাই করে হত্যা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৫, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : মিরসরাইয়ে পারিবারিক কলহে একই পরিবারের তিনজনকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা হলেন- মো. মোস্তফা (৫৬), তার স্ত্রী জো¯েœ আরা (৪৫) ও মেজো ছেলে আহমদ হোসেন (২৫)। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে বড় ছেলে সাদেক হোসেন সাদ্দামকে (৩০) আটক ও তার স্ত্রী আইনুর নাহারকে হেফাজতে নিয়েছে জোরারগঞ্জ থানার পুলিশ। গত বুধবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার ৩নং জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মধ্যে সোনা পাহাড় গ্রামের মোস্তফা সওদাগরের বাড়িতে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মো. মোস্তফার ছোট ছেলে আলতাফ হোসেন বলেন, ভোর রাতে বড় ভাই সাদেক হোসেন আমাকে ফোন দিয়ে বলেন বাড়িতে ডাকাত এসেছে। তারা বাবা, মা ও মেজো ভাইয়ের গলা কেটে ফেলেছে। তুই তাড়াতাড়ি আয়। তাদের হাসপাতালে নিতে হবে। আমি বাড়িতে এসে দেখি বাবা-মা আর মেজো ভাইয়ের নিথর দেহ ঘরের ভেতর পড়ে আছে। রাতে বাড়িতে বাবা, মা, বড় ভাই ও তার স্ত্রী আইনুর নাহার, তাদের ৪ বছর বয়সি একটি ছেলে এবং মেজো ভাই আহমদ হোসেন ছিলেন। আমি চাকরি করার কারণে বারইয়ারহাট মাছের আড়তে থাকি। আমার বাবা কিছু জায়গা-জমি মেজো ভাই আহমদকে দিয়েছিলেন। ওটা নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে বড় ভাইয়ের প্রায়ই ঝগড়া হতো।
৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনির আহমদ ভাসানী বলেন, মো. মোস্তফা ওরফে মোস্তফা সওদাগর অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। সম্প্রতি ২ ছেলেকে বাদ দিয়ে বাড়ির জমিটি ছোট ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রীর নামে রেজিস্ট্রি করে দেয়ায় বড় ছেলের সঙ্গে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। বড় ছেলে ঘরে খরচের টাকা কম দিতেন। মেজো ছেলের বিয়ের জন্য টাকা চাওয়াতে আবারো ঝগড়া হতে পারে। তা থেকে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) লাবিব আবদুল্লাহ বলেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এখানে ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঘরের ভেতর থাকা মোবাইল, আসবাবপত্র সব পরিপাটি অবস্থায় আছে। নিহত মো. মোস্তফা মিয়া তার স্ত্রী জো¯েœœ আরা বেগম ও মেজো ছেলে আহমদ হোসেনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তাদের শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন আছে। ধারালো ছোরা দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাদেক হোসেন ওরফে সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আইনুর নাহারকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আসা পিবিআই ও সিআইডি বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়