করোনা পরিস্থিতি : শনাক্ত কমলেও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

আতঙ্কিত চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর

পরের সংবাদ

সাক্ষাৎকারে বিএমইটি মহাপরিচালক : পূর্ব ইউরোপের শ্রমবাজারে মিলছে নতুন আশার আলো

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামরুজ্জামান খান : বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে বিশ্ব শ্রমবাজারে। সময় পরিক্রমায় নতুন নতুন দেশে এর সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে। আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র সেশেল, পোল্যান্ড, সার্ভিয়া, রোমানিয়া, আলভেনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ায় স্বউদ্যোগে ভিসা নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই লোক যাচ্ছে। এগুলো আমাদের নতুন শ্রমবাজার। তবে বিদেশের দূতাবাসগুলোতে জনবল ও অবকাঠামো সংকট থাকায় শ্রমবাজার বাড়াতে হলে এসব সুযোগও বাড়াতে হবে। শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে তৈরি করতে হবে দক্ষ জনশক্তি। নিজ দপ্তরে ভোরের কাগজকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম।
তিনি বলেন, এসব দেশের সঙ্গে কোনো রাষ্ট্রীয় চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আত্মীয়স্বজনদের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করে যারা যাচ্ছেন তাদের জন্য বিএমইটি যাচাই সাপেক্ষে অনস্টপ ক্লিয়ারেন্স সার্ভিস চালু করেছে। এরা আগে অনেক দেশের ভিসা পেলেও রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে বিএমইটি-এ আসতে হতো। এক্ষেত্রে সময় ও টাকা ব্যয় হতো। এখন তা হচ্ছে না। ভিসা পেলে সহজেই যাওয়া যাচ্ছে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে। এসব দেশে শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারে রাষ্ট্র্রীয় পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে

ওইসব দেশে দূতাবাস না থাকায় বাড়তি সময় লাগছে। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ ও মতবিনিময় ছাড়া কোনো শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয় না। নতুন যে সম্ভাবনা ও আশার আলো দেখা দিয়েছে তা কাজে লাগাতে পারলে নতুন ভিত রচনা হবে।
তিনি বলেন, এসব দেশের ভিসা নিয়ে যারা বিএমইটি-এ আসছেন তাদের ভিসা যাচাই করতে সময় লাগছে। এসব দেশের ভিসার সঙ্গে নতুনভাবে পরিচিতি হওয়ায় আসল-নকল যাচাই করতে একটু সময় লাগছে। সরকারের এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, অনেকে মনে করেন বিদেশে শ্রমবাজার বাড়ালে হলে দূতাবাসগুলোতে জনবল বাড়াতে হবে। বাজার উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন এমন সব শ্রেণির মানুষের সমন্বয়ে নতুন বাজারে প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় করতে হবে। এক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ব ইউরোপের যেসব দেশে নতুন করে জনবল যাচ্ছে সেসব দেশের দিকে বাড়তি নজর দেয়া গেলে শ্রমবাজার আরো বাড়বে, সম্ভাবনার যে আলো দেখা দিয়েছে তা সহসাই উন্মুক্ত হবে।
দূতাবাসগুলোর জনবল ও অবকাঠামো অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগে বাংলাদেশিরা শুধু কাজের জন্য বিদেশে যেতেন। এখন সেই অবস্থা নেই, এখন আমরা মর্যাদা ও নৈতিকতা চাই। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার প্রসঙ্গে কবি শহীদুল আলম বলেন, কয়েকমাস আগে একবার এর সম্ভবনা দেখা দিয়েছিল। বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে তা ঝুলে গেছে।
আগামী ডিসেম্বরের আগে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি চালুর সম্ভাবনা দেখছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং সচিব এ নিয়ে কাজ করছেন। দুদেশের সচিব পর্যায়ে আলোচনা চলছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ ব্যাপারে তৎপর রয়েছে। করোনার কারণে সবকিছু উলট পালট হয়ে গেছে জানিয়ে শহীদুল আলম বলেন, পুরনো বাজারে যত আরো বেশি দক্ষ জনবল পাঠানো যায় সেজন্য কাজ চলছে।
লকডাউন থাকলেও নিজেদের প্রয়োজনে সিঙ্গাপুর লোক নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিদেশে বাংলাদেশের জনশক্তি বাড়াতে সবরকম চেষ্টা করছে। জনশক্তি পাঠাতে বিদেশের চাহিদা পূরণে বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনসহ সবকিছু করা হচ্ছে। বিদেশগামীদের দুর্ভোগ ঠোকাতে বিএমইটি চালু করতে যাচ্ছে নাগরিক ঘণ্টা। প্রশিক্ষতদের ফের বিদেশ যাওয়ায় সৃষ্ট জটিলতাও দূর করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়