করোনা পরিস্থিতি : শনাক্ত কমলেও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

আতঙ্কিত চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর

পরের সংবাদ

সম্ভাব্যময় পর্যটন নগরী পঞ্চগড়

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। যার অপর নাম হিমালয় কন্যা। অপরূপ লীলাভূমি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সমাহার এই জেলা। প্রতিদিন, দেশ-বিদেশের নানা প্রান্তের পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসু মানুষ ভিড় করে এখানকার সৌন্দর্যের চাক্ষুষ প্রমাণ হতে। পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা হচ্ছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্ঘ হিমালয়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা, যা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা থেকে দূরত্ব মাত্র ১১ কি.মি.। ওই কাঞ্চনজঙ্ঘা অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে মেঘমুক্ত আকাশে ভেসে উঠে, বিচ্ছুরণ করে তার অপরূপ সৌন্দর্য। যা খালি চোখেই উপভোগ করে হাজার হাজার পর্যটক। এছাড়াও বর্তমানে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সমতল ভূমির সারি সারি চা বাগান। যেখানে উৎপাদন হয় দেশের উৎকৃষ্টমানের অর্গানিক চা। জেলাতে রয়েছে ছোট বড় মোট চারশর বেশি চা বাগান। এছাড়া বাংলাদেশের একমাত্র রকস মিউজিয়াম অর্থাৎ পাথুরে জাদুঘর যেটি পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের ক্যাম্পাসের ভেতর স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন রংবেরঙের হাজার হাজার বছরের পুরাতন পাথর, প্রাচীন ইমারতের ইট এবং পোড়ামাটির বিভিন্ন মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়। আরো রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন মির্জাপুর শাহী মসজিদ। মসজিদের নির্মাণশৈলীর নিপুণতা ও দৃষ্টিনন্দন কারুকার্য দর্শনার্থীদের ব্যাপকভাবে আকৃষ্ট করছে। এছাড়া রয়েছে ১৫০০ বছর আগের ঐতিহাসিক মহারাজার দিঘি। যার পানি অতি স্বচ্ছ। দিঘিতে রয়েছে মোট ১০টি ঘাট। প্রতি বছর বাংলা নববর্ষে উক্ত দিঘির পাড়ে মেলা বসে। মেলাতে দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও ভিড় জমায়। আরো রয়েছে অষ্টাদশ শতাব্দীর অন্যতম নিদর্শন গোলকধাম মন্দির, বারো আউলিয়ার মাজার শরিফ, ভিতরগড় দুর্গনগরী, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এবং বিভিন্ন কৃত্রিম পার্ক। বিশেষ করে এ অঞ্চলের জনপ্রিয় খাবার যেমন : শিদল, পেলকা এবং কচুর রাসা ইত্যাদি দিয়ে আকৃষ্ট করছে পর্যটকদের। তাছাড়াও বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে নেপালের দূরত্ব ৬১ কি.মি., ভুটান ৬৪ কি.মি., চীন ২০০ কি.মি., এভারেস্ট শৃঙ্ঘ ৭৫ কি.মি., শিলিগুড়ি ৮ কি.মি.। তাই দেশি-বিদেশি পর্যটকরা এই রুটে যাতায়াত করেন। কিন্তু এসব দেশি-বিদেশি পর্যটকের রয়েছে একটি বিশেষ অভিযোগ, তা হলো তাদের রাতযাপনের জন্য নেই পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা। তাই পড়তে হয় নানা ভোগান্তিতে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা করা হলে, পঞ্চগড় হতে পারে দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী। যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মো. আবু সাইদ : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়