করোনা পরিস্থিতি : শনাক্ত কমলেও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

আতঙ্কিত চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর

পরের সংবাদ

মানসিক স্বাস্থ্য আলোকিত জাতির অন্তরায়

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বলা হয়ে থাকে দেহ ও মন একে অন্যের পরিপূরক। কিন্তু বাস্তবে দৈহিক ব্যাধির চিকিৎসা নিয়ে আমাদের সমাজ যতটা তৎপর মানসিক ব্যাধির চিকিৎসা নিয়ে ঠিক ততটাই অমনোযোগী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন করে ব্যক্তি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে মানসিক অবসাদ থেকে মুক্তির জন্য। করোনা মহামারিতে এ সংখ্যা আরো বৃদ্ধির দিকে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ এবং শিশু ও কিশোরদের ১২ শতাংশ মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত। বাংলাদেশে কেন এ মানসিক ব্যাধির ঊর্ধ্বগতি! প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই যে বিষয়টা চোখে পড়ে তা হচ্ছে আত্মহত্যা। এর প্রধান কারণ হতে পারে দেশের একটি বিরাট অংশ এখনো বিশ্বাস করে না যে, দেহের মতো মনেরও রোগ হতে পারে। এ বিরাট জনগোষ্ঠীর মানসিক রোগ সম্পর্কে অজ্ঞতা, ভ্রান্ত ধারণা, লোক লজ্জা, কুসংস্কার আচ্ছন্ন মস্তিষ্ক এ ব্যাধির জন্য দায়ী। এছাড়াও পারিবারিক ভাঙন ও নিঃসঙ্গতা, বেকারত্বের অভিশাপ, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, অপসংস্কৃতি, মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা ইত্যাদির জন্যই দিনকে দিন এ ব্যাধির বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হচ্ছে।
দৈহিক রোগ থেকে মুক্তির জন্য যেমন চিকিৎসা নিতে হয় ঠিক তেমন করে মানসিক রোগেরও চিকিৎসা নেয়া জরুরি। মানসিক রোগ থেকে মুক্তির জন্য বিশেষজ্ঞরা বেশ কিছু কার্যকরী পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যেমন : সমস্যাকে ভয় না পেয়ে খোলামেলা আলোচনা করা; নারী, শিশু ও বয়স্কদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে যতœবান হওয়া; মাদকদ্রব্য পরিহার করা; পরিবারের সঙ্গে গুণগত সময় কাটানো; অবসর সময়ে নতুন কিছু করা যেমন হতে পারে বই পড়া, নিজের ব্যক্তিগত শখ, আহ্লাদ মেটানো; চিকিৎসার জন্য মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে আধুনিক চিকিৎসা গ্রহণ করা ইত্যাদি। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন সেমিনার, লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করা, প্রয়োজনে খেলার মাঠ, পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র সৃষ্টি করা। কেননা মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হওয়া খুবই জরুরি।

এস এ নেহা : শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
[email protected]

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়