করোনা পরিস্থিতি : শনাক্ত কমলেও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

আতঙ্কিত চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর

পরের সংবাদ

নিম্নমানের পাথরে ঢালাই : দাউদকান্দিতে বন্ধ করে দেয়া হলো স্কুল ভবন নির্মাণ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধি : দাউদকান্দি উপজেলার রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ভবনের ঢালাই (বেস) কাজে নিম্নমানের পাথর ব্যবহারের অভিযোগে গত মঙ্গলবার নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কুমিল্লা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন।
এলাকাবাসী জানান, বছরের শুরুতে বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ শুরু হলেও তেমন কোনো অগ্রগতি ছিল না। কয়েক মাস নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় প্রতিটি রডে মরিচা পড়ে যায়। ফলে এসব রডের স্থায়িত্বও কমে যায়। ঠিকাদারকে কাজ করতে তাড়া দেবে এ রকম কোনো মানুষ নেই। সম্প্রতি আবারো কাজ শুরু হলে ভোরে নিম্নমানের পাথর দিয়ে বেস ঢালাই শুরু হয়। স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তিনি এসে কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন। পরে এলাকাবাসী ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) এমদাদ হোসেন এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নানকে জানালে তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অভিযোগের সত্যতা পেয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দ্বিতল ভবনের এ বিদ্যালয়টির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫ লাখ টাকা। কুমিল্লার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স খন্দকার এন্ড ব্রাদার্স এ নির্মাণকাজ শুরু করে। কাজটি গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার কথা। নির্দিষ্ট সময় পার হলেও কাজের অগ্রগতি মাত্র ৪৫ শতাংশ। ঠিকাদারের পক্ষে নির্মাণকাজ দেখাশোনাকারী জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিজেকে সাব-ঠিকাদার দাবি করে বলেন, কাজটি আমি করছি। এখানে পাথরের একটু সমস্যার জন্য ঢালাই বন্ধ রেখেছি। ঠিকাদারের ফোন নম্বর চাইলে তা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। রায়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তিনি কিছুই বলেননি। উল্টো কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়ে চলে যান। পরে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাই।
বিদ্যালয়ের সহসভাপতি মো. সেলিম সরকার বলেন, ভবনটির নির্মাণকাজ কে করছে অফিসিয়ালভাবে আমরা এবং প্রধান শিক্ষকও অবগত নন। আমরা কার্যাদেশের কপি চেয়েও পাইনি। বেস ঢালাইয়ের সময় দেখি নিম্নমানের পাথর ব্যবহার হচ্ছে। তখন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানাই। জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. এমদাদ হোসেন বলেন, ভবন নির্মাণের কাজটি সরজমিন দেখে পাথরের মধ্যে মাটি মিশ্রিত থাকায় নির্মাণকাজ আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়