করোনা পরিস্থিতি : শনাক্ত কমলেও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

আতঙ্কিত চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর

পরের সংবাদ

তালেবান ডিঙিয়ে আফগানদের পাশে জি-২০ : পেটে খেলে পিঠে সয়

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : পতনের দোরগোড়ায় চলে যাওয়া আফগানিস্তানে অনাহারী মানুষের দুঃখ ঘোচাতে টাকার থলি হাতে তাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী জোট জি-২০ নেতারা। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল বললেন, দেশটিকে কোনোক্রমেই বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়তে দেয়া ঠিক হবে না। এর কয়েক দিন আগে আফগান অর্থনীতি বাঁচাতে শত কোটি ডলার সহায়তা চেয়ে জাতিসংঘের আকুতির পর বিশ্বনেতারা একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেন। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাহায্য দিতে রাজি হলেও শর্ত বেঁধে দিয়ে বলেন, যেসব সাহায্য দেয়া হবে তা দিতে হবে স্বাধীন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমে, সরাসরি তালেবানের হাতে তুলে দেয়া চলবে না। যে সাহায্য ইতোমধ্যেই মিলেছে তার পরিমাণ হবে কয়েক মিলিয়ন ডলার। জরুরি খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা হিসেবে এসব অর্থ কাজে লাগানো হচ্ছে। ২০ বছরের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাতে আন্তর্জাতিক এসব পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেয়া হচ্ছে, যখন যে কোনো মুহূর্তে সেখানে বড় ধরনের মানবিক সংকটের আশঙ্কা করছেন দাতব্য সংস্থার কর্মীরা।
নতুন প্রতিশ্রæতির মধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের-লিয়েন জানান, আফগানিস্তান এবং প্রতিবেশী যেসব দেশ শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে, তাদের জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হবে। চ্যান্সেলর মেরকেল গত মাসের নির্বাচনে অংশ নেননি, ফলে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর তাকে সরে যেতে হবে। কিন্তু তিনি আফগানিস্তানের জন্য ৬০০ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা দেয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পুরো আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা আর্থিক পদ্ধতি যদি ভেঙে পড়ে, তাহলে আমাদের কারো কোনো উপকারই হবে না। তখন আর মানবিক সহায়তাও দেয়া যাবে না। আসলে সীমারেখা টানা সহজ নয়। কিন্তু চার কোটি মানুষ যদি চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে, সেটা তো আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের লক্ষ্য হতে পারে না। তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের সহায়তা দেয়া সব প্রতিষ্ঠানে তালেবানের অংশগ্রহণ থাকা উচিত। এ ক্ষেত্রে নারীদের অধিকারের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
মেরকেলের বক্তব্যের সঙ্গে ঐকমত্য প্রকাশ করেন এই ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজক ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। তিনি বলেন, তালেবানের সঙ্গে জি-২০ দেশগুলোর যোগাযোগ করতে হবে। কিন্তু এই যোগাযোগের অর্থ এই নয় যে, ইসলামপন্থি তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়া হলো। অবশ্য বৈঠকে জি-২০ দেশগুলোর সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের পক্ষে দুজন প্রতিনিধি ছিলেন। আফগানিস্তান যাতে আল-কায়েদা বা ইসলামিক স্টেট গ্রুপের মতো জঙ্গিদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত না হয়, সেটাও নিশ্চিত করার কথা বলেন বিশ্বনেতারা। পাশাপাশি বিদেশি নাগরিক এবং দেশ ছাড়তে আগ্রহী আফগানদের নিয়েও কথা বলেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়