করোনা পরিস্থিতি : শনাক্ত কমলেও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

আতঙ্কিত চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর

পরের সংবাদ

ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস : ৫০ বছরেও গঠিত হয়নি ডুবুরি ইউনিট

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দীর্ঘ ৫০ বছরেও গঠিত হয়নি ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিট। ফলে নদীসহ বিভিন্ন জলাশয়ে ডুবে যাওয়া মানুষের উদ্ধারে লেগে যায় দীর্ঘ সময়। এতে স্বজন হারানো পরিবারের আহাজারি যেমন দীর্ঘ হচ্ছে, সেই সঙ্গে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে উদ্ধার কাজে নিয়োজিতদের।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশন সূত্রে জানা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতায় থাকা রেসকিউ বিভাগ অন্তর্ভুক্ত হয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ঠাকুরগাঁওয়ের ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কার্যক্রম ১৯৬৯ সালে শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে জেলার চার উপজেলায় দ্বিতীয় শ্রেণির ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন নির্মিত হয়। এসব স্টেশনে কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ রয়েছে ১৪৩টি। কিন্তু স্টেশনগুলোতে নেই কোনো ডুবুরির পদ। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলে স্থানীয়রা জাল ফেলে কিংবা দড়ি টেনে উদ্ধারের চেষ্টা চালান।
জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্ত এলাকার নাগর নদীতে ডুবে মারা যায় মাজেদা (৩৫) ও রুবিনা (৩২) নামে দুই নারী। স্থানীয়রা দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও উদ্ধার করতে না পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। পরে রংপুর থেকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে সন্ধ্যায় মরদেহগুলো ভেসে ওঠে।
উদ্ধার কাজে সহায়তা করা স্থানীয় কয়েকজন জানান, ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা অনেক পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এর আগে আমরা ৮-১০ জন পানিতে নেমে মরদেহগুলো খোঁজ করি। পরে ওই দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করি। ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা এখানকার নদীগুলোতে প্রায়ই ডুবে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু উপজেলায় ও জেলাতে কোনো ডুবুরি দল না থাকায় উদ্ধার কাজ শুরু করতেই দেরি হয়ে যায়। এতে অনেক সময় ডুবে যাওয়া মানুষকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয় না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, জেলায় ৮০৮ কিলোমিটার নদীপথ রয়েছে। ছোট-বড় নদীর সংখ্যা ১৫টি। শুষ্ক মৌসুম ছাড়া নদীগুলোতে ২৫-৩০ শতাংশ পানি থাকে। কয়েকটি নদীতে নৌকা চলাচল করে।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের তথ্যমতে, গত বছর ও চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৪টি ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ১২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা সরোয়ার হোসাইন বলেন, পুরো রংপুর বিভাগের আট জেলার জন্য ডুবুরি সদস্য রয়েছেন চারজন। এই সদস্যদের দিয়েই পুরো রংপুর বিভাগের উদ্ধার কাজ পরিচালিত হয়। অনেক সময় একটি অভিযান চালানোর সময় আরেক জায়গায় ডুবে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। তখন পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হয়।
জেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. ফরহাদ হোসাইন বলেন, জেলার ফায়ার সার্ভিসে কোনো ডুবুরির পদই নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ডুবুরি নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রস্তাবনা দিয়েছি। এটি বাস্তবায়ন হলে উদ্ধার অভিযানে কোনো সমস্যা থাকবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়