করোনা পরিস্থিতি : শনাক্ত কমলেও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

আতঙ্কিত চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর

পরের সংবাদ

ক্ষেতলালের আছরাঙ্গা দীঘি হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আখতারুজ্জামান তালুকদার, ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) থেকে : জয়পুরহাট জেলা শহর থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ক্ষেতলাল। ১৮৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্ষেতলাল উপজেলায় হাজার হাজার গাছগাছালির ছায়াঘেরা মনোরম ও মনোমুগ্ধকর পরিবেশের এক অপূর্ব ঠিকানা ঐতিহাসিক আছরাঙ্গা দীঘি। আছরাঙ্গা দীঘি ঘিরে পর্যটন কেন্দ্রের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ না করায় এখনো কিছুই হয়নি।
ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ ভবন থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার পশ্চিমে আঁকাবাঁকা পাকা রাস্তা পেরিয়েই এক নিভৃত পল্লীতে অবস্থিত ঐতিহাসিক আছরাঙ্গা দীঘি। আর দীঘির চারপাশে রয়েছে ৭ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। ফলে গাছ-গাছালির ছায়াঘেরা অপূর্ব এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশের অপূর্ব ঠিকানা হিসেবে পরিচিত দীঘিটি।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা, দীঘিটির আয়তন ২৫ একর। দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৭০ ফুট এবং প্রস্থ ১ হাজার ফুট। দীঘির চারদিকে লাগানো রয়েছে সারি সারি শোভাবর্ধনকারী ৭ হাজারেরও অধিক বনজ ও ফলদ গাছ।
২০১৭ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত জয়পুরহাটের সন্তান ও নেতা হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন মামুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রবেশ মুখেই আছরাঙ্গা দীঘির দূরত্ব উল্লেখসহ একটি প্রবেশ গেট তৈরি করে দেন। চলতি বছর পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে চীনের কয়েকজন নাগরিককে নিয়ে দীঘিটি পরিদর্শন করেন তিনি। হুইপ স্বপন স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ক্ষেতলাল উপজেলাবাসীকে দৃষ্টিনন্দন একটি পর্যটন কেন্দ্র উপহার দিবেন এমনটিই প্রত্যাশা উপজেলাবাসীর।
ক্ষেতলাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মজিদ মোল্লা ভোরের কাগজকে জানান, সুস্থ বিনোদন ও মেধা বিকাশে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা জরুরি। হুইপ স্বপন এটির জন্য কাজ করছে।
আমরা আশা করি আমাদের জনপ্রিয় নেতা হুইপ স্বপন ভাই ৫০ বছরের অপূর্ণতার অবসান ঘটিয়ে আছরাঙ্গা দীঘিকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলে ক্ষেতলালবাসীকে উপহার দেবেন।
উপজেলার সদ্য বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম আবু সুফিয়ান ভোরের কাগজকে বলেন, পরিবারকে নিয়ে সেখানে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আছরাঙ্গা দীঘি গাছগাছালিতে ভরা এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশের অপূর্ব জায়গা।
তিনি আরো বলেন, আছরাঙ্গা দীঘিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। প্রকল্প অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।
ক্ষেতলাল উপজেলার চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মণ্ডল বলেন, উপজেলাবাসীর বিনোদনের জন্য আছরাঙ্গা দীঘিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে কিছু কাজ করা হয়েছে। হুইপ স্বপনের দিকনির্দেশনায় পর্যায়ক্রমে এটিকে একটি মানসম্মত বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়