করোনা পরিস্থিতি : শনাক্ত কমলেও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

আতঙ্কিত চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর

পরের সংবাদ

কুতুবদিয়ায় লবণের মাঠে ধানের ফলনে আশাবাদী কৃষক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কুতুবদিয়ায় পতিত লবণের মাঠে চলছে ধানের আবাদ। লবণাক্ত সহিষ্ণ ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছে চলতি মৌসুমে। লবণ উৎপাদনের দ্বীপ কুতুবদিয়ায় লবণ উৎপাদন শেষে ৪ মাস পতিত থাকে মাঠ। এসব মাঠে লবণ ছাড়া অন্য কোনো ফসল উৎপাদিত হয় না। এই পতিত সময় কাজে লাগাতে কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শে লবণ পানি সহিষ্ণ বিভিন্ন জাতের ব্রি-ধানের চাষ বিস্তার লাভ করেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার লেমশীখালী, উত্তর ধুরুং, দক্ষিণ ধুরুং ও আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে লবণ মাঠে লবণাক্ত সহিষ্ণ নতুন উদ্ভাবিত উফশী জাতের ব্রি-৬৭, ব্রি-৪৭, ব্রি-৪৮, ব্রি-৭৪, ব্রি-৭৫ প্রভৃতি ধান চাষ হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ৬৫ হেক্টর জমিতে এই ধান চাষ করেছেন লবণ চাষিরা। এর মধ্যে লেমশীখালী ইউনিয়নে ২৫ হেক্টর, উত্তর ধুরুং ১৫ হেক্টর, দক্ষিণ ধুরুং ১০ হেক্টর, কৈয়ারবিল ১০ হেক্টর ও আলী আকবর ডেইলে ৫ হেক্টর জমিতে এই ধান চাষ হয়েছে। গত বছর উপজেলায় মোট মাত্র ২০ হেক্টর জমিতে লবণাক্ত সহিষ্ণ ধানের চাষ হয়েছিল।
লেমশীখালী ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিজানুল ইসলাম বলেন, লবণ চাষিদের নতুন উদ্ভাবিত লবণ সহিষ্ণ ধান চাষে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। চাষিরা সাড়া দিচ্ছেন। পরিশ্রম হলেও ফলন ভালো। প্রতি একরে ৬০ মণ ধান উৎপাদন হচ্ছে বলে তিনি জানান।
লেমশীখালী ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোছাইন বলেন, কয়েকজন লবণ চাষি নতুন উদ্ভাবিত লবণাক্ত সহিষ্ণ ধান চাষ করেছেন। লবণ চাষের জন্য জমি লাগিয়ত নিয়ে পরীক্ষামূলক ধান চাষে তিনি বাড়তি টাকা নেন না। চাষিরা পতিত মাঠে বাড়তি ধান চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. নাজেম উদ্দিন বলেন, লবণ চাষিরা কঠোর পরিশ্রম করে লবণের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। অনেক চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি বছর। একসনা লবণ চাষের জন্য জমি লাগিয়ত নিয়ে উফশী জাতের লবণাক্ত সহিষ্ণ ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছে। ফলে রাতারাতি এই ধান চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
ফলনও হয়েছে বাম্পার। চারা রোপণ থেকে ১২০ দিনে ধান কাটা সম্ভব। এ সময়টা লবণের মাঠ পতিত পড়ে থাকে। ধান কেটে একই জমিতে লবণ চাষ করতেও কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। আগামী বছরেও লবণ মাঠে আরো অধিক ধান চাষ করবে চাষিরা এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়