করোনা পরিস্থিতি : শনাক্ত কমলেও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

আতঙ্কিত চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর

পরের সংবাদ

ওষুধ শিল্পে কর অবকাশ আরো ১০ বছর

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ যদি ওষুধের কাঁচামালও উৎপাদন করতে পারে, তবে প্রায় ৭ বিলিয়ন বা ৭০০ কোটি ডলার (প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) রপ্তানি আয় করা সম্ভব, যা বর্তমানে আছে ৩০০ কোটি টাকা। দেশীয় ওষুধ শিল্পের প্রসারে সুখবর দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল উৎপাদন করে ওষুধ রপ্তানি করলে এমন প্রতিষ্ঠানকে আরো ১০ বছর কর অবকাশ সুবিধা বা ট্যাক্স হলিডে দেয়া হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এ খাতে ২০২২ সাল পর্যন্ত কর অবকাশ সুবিধা দেয়া আছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিদ্যমান সুবিধা ২০৩২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনে উৎসাহিত করতে বিনিয়োগকারীদের বাড়তি সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে এনবিআর বলেছে। বর্তমানে অন্য দেশে থেকে পেটেন্ট (ফর্মুলা) নিয়ে এসে বাংলাদেশ যে ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে, তার কাঁচামালও আসছে বিদেশ থেকে। বাংলাদেশে ওষুধের কাঁচামালের ৮৫ শতাংশ আমদানিনির্ভর। বাংলাদেশ যদি ওষুধের কাঁচামালও উৎপাদন করতে পারে, তবে প্রায় ৭ বিলিয়ন বা ৭০০ কোটি ডলার (প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা) রপ্তানি আয় করা সম্ভব, যা বর্তমানে আছে ৩০০ কোটি টাকা।
এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এপিআই খাতে টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কর অবকাশ সুবিধা অব্যাহত রাখা হয়েছে। দেশীয় ওষুধ শিল্পের প্রসার, প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টি করতে পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ, ওষুধের মান উন্নয়নে গবেষণা করা এবং প্রয়োজনীয় কাঁচামাল যেন বাংলাদেশেই উৎপাদন করা যায়, সেলক্ষ্যে ২০০৮ সালে দেশে একটি ওষুধ শিল্প পার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয় এবং একই বছরের ডিসেম্বরে একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়। পোশাকি ভাষায় এই পার্কের নাম ‘অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রিডিয়েন্ট’ বা এপিআই নামে পরিচিত। যেখানে ৪২টি ওষুধ কোম্পানিকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এত বছর পরও এ পার্কের কাজের তেমন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারি কোম্পানিগুলো এপিআই-এর অবকাঠামো ঠিকমতো তৈরি করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এর বাস্তবায়ন দ্রুত করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এপিআই হলে ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের আমদানি নির্ভরতা কমবে।
শুধু তাই নয়, কাঁচামাল রপ্তানি করা সম্ভব হবে। সময়মতো এপিআই পার্ক না হওয়াটাই ওষুধ শিল্পের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। গবেষণা সংস্থা সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কাঁচামালের সিংহভাগ যাতে দেশেই উৎপাদন হয় সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ওষুধ শিল্পে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই খুবই কম। প্রচুর এফডিআই আনতে হবে। এনবিআর বলেছে, কর সুবিধা পেতে হলে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রতি বছর বিধি অনুসারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। মানহীন ওষুধ উপকরণ উৎপাদন করলে জরিমানা হবে এবং ওই বছরের কর সুবিধা বাতিল করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়