করোনা পরিস্থিতি : শনাক্ত কমলেও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

আতঙ্কিত চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর

পরের সংবাদ

আশ্রয়ণের ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ : পাবনা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পাবনা প্রতিনিধি : জেলার চাটমোহরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন মোল্লার দুই নিকটাত্মীয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বামনগ্রামসহ আরো দুটি গ্রামের অন্তত ৩০-৪০ জন হতদরিদ্র ব্যক্তির কাছে থেকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন মোল্লার চাচাতো ভাই রেজাউল ও আরজু ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়েছেন। ভুক্তভোগী প্রতিজনের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এত টাকা দিয়েও সরকারি ঘর না পেয়ে ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চাইলে তাদের টাকা না দিয়ে উল্টো হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন চেয়ারম্যানের নিকটাত্মীয় ওই ব্যক্তিরা। কোনো উপায় না দেখে প্রতারণার শিকার হতদরিদ্র মানুষ প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী ধানবিলা গ্রামের আবু হানেফের ছেলে আছাদ আলী বলেন, সরকারি ঘর পাওয়ার জন্য অন্য সবার মতো আমিও প্রায় দেড় বছর আগে চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই রেজাউলের কাছে ৫০ হাজার টাকা দেই। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমাকে ঘর দেয়া হয়নি। টাকা ফেরত চাইলে অমুক দিন দেব বলে তালবাহানা করে আসছে।
অপর ভুক্তভোগী বামনগ্রামের মৃত সুলতান শেখের ছেলে সুজন শেখ বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই রেজাউল ও আরজু আমার কাছ থেকে দুই বছর আগে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। চেয়ারম্যান নিজ হাতে টাকা না নিয়ে তাদের দিয়ে টাকা নিয়েছে। এখন পর্যন্ত আমি ঘর পাইনি। কয়েকবার টাকা চাইতে গেলে তারা বলে অফিসে টাকা দেয়া হয়েছে, অফিস টাকা ফেরত দিলে তোমাদেরও টাকা ফেরত দেয়া হবে বলে জানায়।
অভিযুক্ত রেজাউল ও আরজু বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। তারা কারো কাছ থেকে সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নেননি। সামনে ইউপি নির্বাচন। বর্তমান চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিনকে বেকায়দায় ফেলতে প্রতিপক্ষের লোকজন সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করে এই অভিযোগ দিয়ে ফায়দা লুটতে চায়।
অভিযোগের বিষয়ে ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন মোল্লা বলেন, শুনেছি আমার নাম ভাঙিয়ে এলাকার কিছু মানুষ ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছে। ঘটনাটি আমি কিছুই জানি না। যারা টাকা দিয়েছে তারাও আমাকে কিছুই বলেনি। গত দুই দিন আগে কয়েকজন এসে আমাকে বিষয়টি জানালে তাদের বলেছি এখন আমি কিছ্ইু করতে পারব না। পরে সময় নিয়ে বসে এর সুরাহা করে দেব।
এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম বলেন, অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এমন ঘটনার সত্যতা পেলে, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়