করোনা পরিস্থিতি : শনাক্ত কমলেও প্রাণহানি কিছুটা বেড়েছে

আগের সংবাদ

আতঙ্কিত চট্টগ্রামের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা : বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর

পরের সংবাদ

আমরা নজর রাখছি : এটিইউ > ফেসবুকের কালো তালিকায় ৬ জঙ্গি সংগঠন, এক ব্যক্তি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশে সক্রিয় এমন ৬টি জঙ্গি সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ‘ডেঞ্জারাস ইন্ডিভিজুয়ালস এন্ড অর্গানাইজেশন্স’ (ডিআইও)-এর আওতায় গোপন তালিকায় এ নামগুলো রয়েছে। এসবের অন্যতম আইএসের সঙ্গে সম্পর্কিত আল মুরসালাত মিডিয়া এন্ড ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশ, আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত হরকাতুল জিহাদি ইসলামি বাংলাদেশ এন্ড আনসারুল্লাহ বাংলা, জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ ও সাহাম আল হিন্দু মিডিয়া। তালিকায় একজন ব্যক্তির নাম রয়েছে, তরিকুল ইসলাম। তার কোনো পরিচয় দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে, জেএমবির সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে।
এ ব্যাপারে এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসান বলেন, এসব জঙ্গি সংগঠন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে, সেটি আমরাও নজরদারি করছি। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এইসব সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করে একটি ভালো কাজ করেছে। এসব জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে ৩টি জঙ্গি সংগঠনকে সরকার আগেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সেগুলো হলো হরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশ (হুজিবি), আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) ও জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। তবে তারিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে ফেসবুক যে কালো তালিকাভুক্ত করেছে, ওই ব্যক্তি সম্পর্কে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
সূত্র জানায়, কমপক্ষে ৪ হাজার ব্যক্তি ও গ্রুপের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে ফেসবুক। এর মধ্যে দাতব্য সংস্থা, হাসপাতাল, লেখক, কয়েক শত সংগীতশিল্পী, রাজনীতিক এবং প্রয়াত ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের নাম আছে। এদের বিপজ্জনক হিসেবে মনে করে ফেসবুক।
বিগত কয়েক বছরে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এ সময়ে কোনো ব্যক্তি বা গ্রুপকে নিয়ে এমন পোস্ট দেয়াকে অনুৎসাহিত করা হয়, যা সহিংসতা উসকে দেবে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা যেসব ব্যক্তি বা গ্রুপকে বিপজ্জনক মনে করছে তাদের চিহ্নিত করছে।
যারা এসব তালিকাভুক্ত ব্যক্তি ও সংগঠন নিয়ে আলোচনা করেন তাদেরও শাস্তির আওতায় আনে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, যারা জঙ্গি সংগঠনগুলোর মতো মারাত্মক ক্ষতিকর কাজ করতে পারেন তাদের প্রথম স্তরে, যারা সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মতো সহিংস তাদের দ্বিতীয় স্তরে এবং যারা ফেসবুকের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এবং বিপজ্জনক সংগঠনের নীতিমালা লঙ্ঘন করে তাদের তৃতীয় স্তরের

শাস্তির আওতায় আনা হয়। তাই বাংলাদেশের যেসব জঙ্গি সংগঠন ও ব্যক্তির নাম তালিকায় আছে, তাদের নিয়ে আলোচনা করলেও শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে ব্যবহারকারীদের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়