তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন : পূর্ণ প্যানেলে জয়ী কাজিম-আয়েজ পরিষদ

আগের সংবাদ

যুদ্ধাপরাধ বিচারে স্থবিরতা ; বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে নিতে সরকারের আগ্রহ নিয়ে সংশয়! ট্রাইব্যুনালেও জনবল সংকট

পরের সংবাদ

হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গতকাল মঙ্গলবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন ভোরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা- নিরীক্ষার জন্যই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ঠিক কী ধরনের শারীরিক জটিলতার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তা জানাননি তিনি।
সূত্র জানায়, পুরনো সব অসুখই ঘুরেফিরে আসছে খালেদা জিয়ার। থেমে থেমে জ¦রও আসছে বেশকিছু দিন ধরে। শরীরের তাপমাত্রা ওঠানামা করায় চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে গতকাল বিকালে

এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয়। বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে খালেদা জিয়া বাসা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশে বের হন।
পরে গাড়ি থেকে হুইল চেয়ারে করে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তার সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে যান দলের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. আল মামুন প্রমুখ।
খালেদা জিয়ার হাসপাতালে যাওয়ার খবরে দুপুর থেকেই এভারকেয়ার হাসপাতালের চারপাশে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ভিড় সামলাতে হাসপাতালের ভেতর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। গত এপ্রিল তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। করোনা থেকে সেরে উঠলেও নানা শারীরিক জটিলতায় ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একপর্যায়ে তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন তিনি বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নেয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট এন্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকার নেয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন তিনি।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এ পর্যন্ত চার দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে বিএনপির নেতারা খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে এই মুক্তিকে ‘গৃহবন্দি’ বলছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়