তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন : পূর্ণ প্যানেলে জয়ী কাজিম-আয়েজ পরিষদ

আগের সংবাদ

যুদ্ধাপরাধ বিচারে স্থবিরতা ; বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে নিতে সরকারের আগ্রহ নিয়ে সংশয়! ট্রাইব্যুনালেও জনবল সংকট

পরের সংবাদ

সিরিয়াল রেপিস্ট নাঈম : দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ধর্ষণ করত শিশুদের

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনায় শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার সময় গ্রেপ্তার নাঈমুর রহমান ওরফে নাঈম একজন সিরিয়াল রেপিস্ট বলে জানিয়েছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জ ও বরগুনার পুলিশের পৃথক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য।
পুলিশ জানিয়েছে, রেপিস্ট নাঈমের টার্গেট ছিল শিশুরা। দেশের অনেক জেলায় অসহায়ত্বের কথা বলে ভবঘুরে হয়ে আশ্রয় নিয়ে চুরি ও ধর্ষণ করে বেড়াত সে। নাঈমের এমন কর্মকাণ্ডের জন্য চার বছর আগে তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তার স্বজনরা।
গত শনিবার বিকালে বরগুনায় ৯ বছরের এক শিশুকে পথ দেখিয়ে দেয়ার অনুরোধ করে মুখ চেপে তুলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় নাঈম। শিশুটির চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। নাঈমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নাঈমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসেন বরগুনা সদর থানায়। জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম নারায়ণগঞ্জে ২৩ সেপ্টেম্বর এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয়।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় ভবঘুরে সেজে নিজের অসহায়ত্বের কথা বলে বিভিন্ন পরিবারে প্রথমে সে আশ্রয় নিত কাজের লোক হিসেবে। পরে আশপাশে থাকা শিশুদের কখনো আইসক্রিম কখনো চকলেট খাওয়ানোর কথা বলে নির্জন কোথাও নিয়ে ধর্ষণ করত। ধর্ষণের জন্য সে টার্গেট করত ছোটো শিশুদের।
তিনি আরো জানান, দু-এক দিনের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জের আদালতে নাঈমকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করবেন তারা।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর মল্লিক জানান, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত নাঈম সিরিয়াল রেপিস্ট বলে প্রমাণ পেয়েছেন তারা। এছাড়া নানান অপরাধের তথ্য দিয়েছে নাঈম।
নাঈম বরগুনার সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া এলাকার জব্বার মাঝির ছেলে। এলাকায় সে চিহ্নিত অপরাধী।
নাঈমের বড় ভাই রুবেল মাঝি বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অপরাধের কারণে চার বছর আগেই পরিবার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয় নাঈমের সঙ্গে।
বরগুনা সদর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, নাঈমের সব অপরাধের তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে শিগগির মামলার চার্জশিট দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়