কাগজ ডেস্ক : করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) রাশিয়ায় একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর নতুন রেকর্ড হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৯৭৩ জন মৃত্যুবরণ করেছে। করোনা ভাইরাস মহামারির শুরু থেকে রাশিয়ায় একদিনে এত মানুষের মৃত্যু এটিই সবচেয়ে বেশি। একই দিনে দেশটিতে নতুন করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ২৮ হাজার ১৯০ জনের।
শনাক্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়া এবং বেশিসংখ্যক মানুষ ভাইরাস আক্রান্ত হতে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকেও গত সোমবার টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সরকারি বৈঠকে বারবার কাশতে দেখা গেছে।
তার স্বাস্থ্য নিয়ে অন্যদের উদ্বেগের জবাবে পুতিন অবশ্য বলেছেন, তিনি সুস্থ আছেন এবং প্রতিদিনই করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করাচ্ছেন। তাই চিন্তার কোনো কারণ নেই। তবে দেশে দৈনিক মৃত্যুর নতুন রেকর্ডের পরিপ্রেক্ষিতে টিকাদান কর্মসূচির গতি সঞ্চার করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
নবনির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে এক বক্তব্যে পুতিন আরো বেশি মানুষকে টিকা দেয়ার প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে সমর্থন দেয়ার জন্য তাদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘টিকা মানুষকে ভাইরাস সংক্রমণ, মারাত্মক উপসর্গ থেকে সুরক্ষা দেয়। আমাদের আরও দ্রুতগতিতে টিকা দেয়া দরকার।’
বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কমতে থাকলেও রাশিয়ায় তা বাড়ছে। এ পরিস্থিতির জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক মানুষের টিকা না নেয়াকেই দায়ী করেছে ক্রেমলিন।
গতবছর করোনা ভাইরাস মহামারি শুরুর পর খুব কম সময়ের মধ্যেই রাশিয়া তাদের নিজস্ব স্পুৎনিক কোভিড টিকা তৈরি করে তা দিতেও শুরু করে। কিন্তু দেশটিতে টিকাদান চলছে ধীরগতিতে। রাশিয়ার নাগরিকরা অনেকেই কর্তৃপক্ষের ওপর আস্থা না থাকা এবং নতুন চিকিৎসা পণ্য নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
রুশ প্রধানন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, রাশিয়ার জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশকে টিকা দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে রাশিয়ায় মহামারির যে ঢেউ চলছে, তাতে দ্রুতই মানুষ ভাইরাস আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো টিভিতে এক সরকারি বৈঠকে বলেছেন, সম্প্রতি ১১ লাখ মানুষের কোভিড-১৯ উপসর্গের চিকিৎসা করা হয়েছে।