তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন : পূর্ণ প্যানেলে জয়ী কাজিম-আয়েজ পরিষদ

আগের সংবাদ

যুদ্ধাপরাধ বিচারে স্থবিরতা ; বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে নিতে সরকারের আগ্রহ নিয়ে সংশয়! ট্রাইব্যুনালেও জনবল সংকট

পরের সংবাদ

নিয়মের বালাই নেই : সাভারে নকশাবহির্ভূত বহুতল ভবনে হাসপাতাল

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আজিম উদ্দিন, সাভার (ঢাকা) থেকে : সাভারে অধিকাংশ বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রেই রাজউকের বিধিমালা মানা হচ্ছে না। বিশেষ করে বাড়ি নির্মাণ করার সময় আবশ্যিক উন্মুক্ত স্থান ছাড়ছেন না অধিকাংশ বাড়ি বা ভবনের মালিকরা।
ক্ষতিগ্রস্তরা প্রতিকার চেয়ে পৌরসভায় অভিযোগ দায়ের করলেও এ পর্যন্ত কোনো অভিযোগেরই সুরাহা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগকারীরা উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, পৌরসভা অভিযোগ নিয়েই চুপ থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নোটিস দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পৌরসভার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী নোটিসের ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকাচ নিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়।
জানা গেছে, সাভার পৌর এলাকার সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের কাছে ৩নং ওয়ার্ডের বি-১১৯/৩ জালেশ্বর হোল্ডিংয়ে ১৩ শতাংশ জমিতে একটি ৭ তলা ভবনের উপর আবার একটি টিনশেড নির্মাণ করছেন সেলিম রেজা। ভবনটি সুপার মেডিকেল হসপিটাল (প্রা.) লিমিটেড হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাজউকের বিধি না মেনে ভবন তৈরির বিষয়ে সুপার ক্লিনিকের বিরুদ্ধে সাভার পৌরসভায় লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দেন একাধিক ভুক্তভোগী। এ বিষয়ে তথ্য অধিকার আইনে পৌরসভার কাছে তথ্য চাওয়া হলে পৌরসভা থেকে সুপার ক্লিনিকের ভবনটির যে তথ্য ও নকশা সরবরাহ করা হয়েছে তাতে ভবন তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম দেখা গেছে।
পৌরসভা থেকে দেয়া অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী জমিতে বহুতল ভবন করতে হলে ভবনের চারপাশ থেকে জমি ছাড়তে হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, এ ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আবশ্যিক উন্মুক্ত স্থান ছাড়া হয়নি। ভবনের অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ব্যবহৃত ২০ ফুট রাস্তার পর পাঁচ ফুট ছেড়ে ডানে-বামে চার ফুট দুই ইঞ্চি উন্মুক্ত রাখার কথা। কিন্তু কার্যত নকশা অনুযায়ী জায়গা ছাড়েননি ভবন মালিক। নকশায় ভবনটির নিচতলায় গাড়ি পার্কিং থাকলেও সেখানে পাকিংয়ের কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। গাড়ি পার্কিংয়ের স্থানে হাসপাতালের ফার্মেসি ও ইমার্জেন্সি বিভাগ করা হয়েছে। ভবনটির গুরুত্বপূর্ণ ফটক তালাবদ্ধ করে রেখে সেখানে জেনারেটর বসানো হয়েছে। অনেকের অভিযোগ, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ভবন থেকে বের হওয়ার গেটটিও বন্ধ করে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। নকশায় ভবনের কোনো আন্ডারগ্রাউন্ড না থাকলেও অর্ধেক পরিমাণ আন্ডারগ্রাউন্ড তৈরি করে সেটা গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সুপার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক সেলিম রেজা নকশার নিয়ম না মেনে ভবন তৈরির কথা স্বীকার করে বলেন, ভবনের নিচে না করে বাইরে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা অন্য জায়গায় করেছি। তাছাড়া অনেকেইতো বহুতল ভবন তৈরিতে কোনো নিয়ম মানেনি। তাহলে শুধু আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন, উল্টো প্রশ্ন করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জানতে সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফুল ইমামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সুপার মেডিকেল হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়