তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন : পূর্ণ প্যানেলে জয়ী কাজিম-আয়েজ পরিষদ

আগের সংবাদ

যুদ্ধাপরাধ বিচারে স্থবিরতা ; বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে নিতে সরকারের আগ্রহ নিয়ে সংশয়! ট্রাইব্যুনালেও জনবল সংকট

পরের সংবাদ

দর্শক মাতিয়ে সাঙ্গ হলো গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শেষ হলো গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় দুটি নাটক ও একটি যাত্রাপালা এবং সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উন্মুক্ত মঞ্চে বাউল গানের মধ্য দিয়ে এর আলো নিভল। গতকাল মঙ্গলবার সমাপনী সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চায়ন করে ‘একটি লৌকিক অথবা অলৌকিক স্টিমার’, একই সময়ে পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের নাটক ‘ইনফরমার’ ও স্টুডিও থিয়েটার হলে যাত্রাপালা ‘একাত্তরের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ পরিবেশন করে যাত্রার দল জয়যাত্রা।
একই সময়ে সন্ধ্যা সাতটায় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনের সাংস্কৃতিক আয়োজনে ‘খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামের নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস এবং ‘বাঙালি-বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামের আবৃত্তি পরিবেশন করে মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। এর আগে বিকালে নাট্যশালার উন্মুক্ত মঞ্চে বাউল গান পরিবেশন করে বরেণ্য বাউলরা। মঞ্চনাটক, পথনাটক, মূকাভিনয়, নৃত্যালেখ্য, সংগীত আবৃত্তি, নৃত্য, ধামাইল গান, গম্ভীরা, বাউল গানসহ নানা আয়োজন নিয়ে এবারের উৎসবে সারাদেশের ১৪০টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিল্পী অংশ নেয়। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় নাটক মঞ্চায়নের পাশাপাশি বিকাল ৪টা থেকে উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় নাচ, গান, আবৃত্তিসহ নানা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার তিন মিলনায়তন, সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তন ও উন্মুক্ত মঞ্চসহ একযোগে একাডেমির পাঁচটি মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় এবারের উৎসব। গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক পর্ষদের আয়োজনে গত ১ অক্টোবর শুরু হয় এই উৎসব। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয় এবারের উৎসব।
আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রীর হাতে রয়্যালিটির টাকা তুলে দিল কপিরাইট অফিস : রেজিস্ট্রেশনকৃত গানের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম হতে মাত্র এক বছরেরও কম সময়ে আইয়ুব বাচ্চুর গান পাঁচ

হাজার ডলার আয় করেছে। আর টেলিফোন কোম্পানির মাধ্যমে আয় করেছে ৫ লাখ টাকা। প্রয়াত এই কণ্ঠশিল্পীর অর্জিত অর্থের রয়্যালটি আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তারের হাতে তুলে দিয়েছে কপিরাইট অফিস। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের জাতীয় গ্রন্থাগার মিলনায়তনে এই র‌্যয়ালিটি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
রয়্যালিটি হস্তান্তরকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের মাধ্যমে শিল্পীদের অধিকার সুরক্ষায় বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। যার অংশ হিসেবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস নন্দিত ও জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর সৃষ্টিকর্মকে সংরক্ষণের পাশাপাশি এর বাণিজ্যিক ব্যবহার হতে রয়্যালটি আদায় নিশ্চিত করেছে। কপিরাইট নিশ্চিতকরণ ও মেধাস্বত্ব সংরক্ষণের লক্ষ্যে এটি এক অসাধারণ অর্জন। তিনি আরো বলেন, নতুন কপিরাইট আইন কেবিনেটে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। নতুন আইনে কপিরাইটের আওতায় প্রণেতার আর্থিক অর্জন সুসংহতকরণ ও এ বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত উদ্যোগের নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে। শিল্পীদের কল্যাণে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোভিডকালীন প্রায় ২০ হাজার শিল্পীকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া প্রান্তিক শিল্পীদের আর্থিক সুরক্ষায় সংগীতবিমা চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর্থিক পরিমাণ বিবেচনায় এটি কম হতে পারে, কিন্তু এর মাধ্যমে সরকারের পক্ষ হতে শিল্পীদের এক ধরনের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে যা অর্থ দিয়ে পরিমাপ করা সম্ভব নয়।
রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস জাফর রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ কপিরাইট বোর্ডের চেয়ারম্যান সাবিহা পারভীন। এতে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া, আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার ও এলআরবি ব্যান্ডের সদস্য আবদুল্লাহ আল মাসুদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়