তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন : পূর্ণ প্যানেলে জয়ী কাজিম-আয়েজ পরিষদ

আগের সংবাদ

যুদ্ধাপরাধ বিচারে স্থবিরতা ; বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে নিতে সরকারের আগ্রহ নিয়ে সংশয়! ট্রাইব্যুনালেও জনবল সংকট

পরের সংবাদ

তরমুজের গুড় তৈরি করে তাক লাগালেন মৃত্যুঞ্জয়

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শেখ মাহতাব হোসেন, ডুমুরিয়া (খুলনা) থেকে : খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার ছোটবন্ড গ্রামের এক তরুণ কৃষক মণ্ডল কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো তরমুজের গুড় তোগুড় উৎপাদন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেনের সহযোগিতায় ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো তরমুজের চাষ করেন। ৩ বছর পর এলাকায় সফল তরমুজ চাষি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
বরাবরই তরমুজ উচ্চমূল্যের ফসল। তবে কিছু কিছু তরমুজ সাইজে ছোট হয় বা আকার আকৃতিতে কিছুটা কম থাকে। ফলে গ্রেডিংয়ে টেকে না, যা ক্যাট নামে পরিচিত। এগুলো বিক্রি হয় না এবং অনেক সময় মাঠেই থেকে যায়। কোনো কোনো সময় বৃষ্টিতে পচে এগুলোর দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। মৃত্যুঞ্জয় ওই সমস্ত ক্যাট নিয়ে কোনো রকম মেশিন ছাড়া একেবারে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তরমুজ কেটে এর লাল অংশ বের করে, নেট দিয়ে ছেকে জুস বের করে চুলায় জালিয়ে তোগুড় তৈরি করছেন।
প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি এ গুড় অত্যন্ত সুস্বাদু এবং অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায়। পরিদর্শনকালে মৃত্যঞ্জয় ভোরের কাগজকে বলেন, তরমুজের রস মিষ্টি এবং পাতলা। এজন্য আমার মনে হয়েছিল এর থেকে গুড় করা সম্ভব এবং আমি শুরু করে সফল হয়েছি। প্রায় তিন কেজি গুড় তৈরি করে আমি নিজে, পাড়া প্রতিবেশী, উপজেলা কৃষি অফিসার স্যারসহ অনেককেই খেতে দিয়েছি। সবাই প্রশংসা করেছেন। অনেকেই ৩০০ টাকা কেজি দরে কিনতে চেয়েছে। আগামীতে এর উৎপাদন আরো বাড়াব।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, এটি কৃষিতে এক দারুণ অর্জন। আমাদের দেশের গুড় শিল্প দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। একদিকে তাল, খেজুর গাছের সংখ্যা অপরদিকে গাছির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে গুড় শিল্প হুমকির দিকে চলে যাচ্ছে। আমাদের উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকা তরমুজ চাষের অত্যন্ত উপযোগী।
সিজনে কৃষক অনেক সময় ন্যায্যমূল্য পায় না এবং তরমুজের ক্যাটগুলো বিক্রি হয় না। আমার এসব তরমুজ নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে গুড় তৈরি করলে কৃষক একদিকে যেমন তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে, অপরদিকে ফসল অপচয় রোধ হবে। আমরা মৃত্যুঞ্জয়ের মতো কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী এবং মাঠে পরামর্শসহ অন্যান্য সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি। আগামীতে এটি আরো বাড়বে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়