তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন : পূর্ণ প্যানেলে জয়ী কাজিম-আয়েজ পরিষদ

আগের সংবাদ

যুদ্ধাপরাধ বিচারে স্থবিরতা ; বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে নিতে সরকারের আগ্রহ নিয়ে সংশয়! ট্রাইব্যুনালেও জনবল সংকট

পরের সংবাদ

টেকনিক্যাল টেক্সটাইল, পিপিইতে নজর দিতে হবে : বিশেষজ্ঞ মত

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিগত বছরগুলোয় বাংলাদেশ বিশ্ব বাজারে টেক্সটাইল ও পোশাক খাতের অন্যতম বৈশ্বিক সরবরাহকারী হিসেবে তার অগ্রণী অবস্থান নিশ্চিত করেছে। চলমান কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও এখন এ অবস্থান ধরে রাখাই দেশটির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ পরিস্থিতিতে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং মূল্য সংযোজন করা যেতে পারে, যদি কিনা খাতটি টেকনিক্যাল টেক্সটাইল (টিটি) এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি (পিপিই) উৎপাদনের দিকে নজর দেয়। বিজিএমইএ-এর সহযোগিতায় জার্মান উন্নয়ন সংস্থা, জিআইজেড পরিচালিত ‘বাংলাদেশে ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদি (পিপিই)সহ টেকনিক্যাল টেক্সটাইলের উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভব্যতা’ শীর্ষক গবেষণায় এমন ধারণা পাওয়া গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার জিআইজেড, জিএফএ এবং বিজিএমইএ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক ‘হাইব্রিড’ ইভেন্টের মাধ্যমে গবেষণা ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টারের উপস্থিতিতে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহসভাপতি মিরান আলী, জিআইজেড বাংলাদেশ-এর টেক্সটাইল ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর, ওয়েরনার ল্যাঙ্গে এবং জিআইজেড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এনজেলিকা ফ্লেডডারমেন, প্যানেলিস্ট বিজিএমইএ পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, ¯েœাটেক্সের অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টের তরিকুল ইসলাম, জিআইজেডের বিজনেস স্কাউট, থমাস হাবনার এবং গবেষণার প্রবন্ধকার, জিএফএ-এর কনসালটেন্ট চার্লস ডেয়ার ও গবেষণায় তার সহকর্মী ড. রাজেশ ভেদা প্রমুখ সাব-সেক্টরের (টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এবং পিপিই খাতের) জন্য উঠে আসা প্রস্তাবগুলো এবং প্রস্তাবগুলোর চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন বিনিয়োগ ও উন্নত বিশ্বের প্রযুক্তিগত জ্ঞান। আমাদের শিল্প টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ও পিপিই-এর সম্প্রসারণশীল বাজার ধরতে প্রস্তুত। টেকনিক্যাল টেক্সটাইল ও পিপিই খাতে যৌথ বিনিয়োগ আমরা স্বাগত জানাই। সেই সঙ্গে ব্র্যান্ড, টেস্টিং সার্ভিসেস কোম্পানি এবং প্রযুক্তি সরবরাহকারীদের সহায়তা নিয়ে এই সম্ভাবনা আমরা বাস্তবে রূপ দিতে চাই।
কমপ্লায়েন্ট হওয়ার স্বীকৃতি এবং ইইউ ও মার্কিন বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ট্রেডিং পার্টনার হিসেবে অর্জিত খ্যাতিকে পুঁজি করার জন্য গবেষণায় বাংলাদেশকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একবার বাংলাদেশ নতুন খাতটিতে টেকনিক্যাল টেক্সটাইল এবং পিপিই খাতে আস্থা ও নির্ভরযোগ্যতা তৈরি করতে সমর্থ হলে উন্নত প্রযুক্তি চালু করা যেতে পারে। এগুলো পণ্যকে বৈচিত্র্যময় এবং পণ্যের পোর্টফোলিওকে পরিশীলিত হতে সাহায্য করবে, যা থেকে অধিক মুনাফা আসবে। এমনকি সীমিতসংখ্যক পণ্যও যদি উচ্চমান বজায় রেখে উৎপাদিত হয়, তাহলেও তাদের জন্য বাজারে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি ও পণ্যের দরজা খুলে যাবে। তবে এখনো কিছু বড় বাধা আছে। এর মধ্যে রয়েছে বাজারের চাহিদা সম্পর্কে সচেতনতার অভাব, অপর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত দক্ষতা, উচ্চ মানসম্পন্ন পণ্যের কাঁচামাল সংগ্রহ করার অসুবিধা, কমপ্লায়েন্স ও সার্টিফিকেশনের চাহিদা এবং মূলধন বিনিয়োগের ওপর নির্ভরতা।
জিআইজেড টেক্সটাইল ক্লাস্টার নামক জার্মান উন্নয়ন সংস্থা, এই চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য স্থানীয় অংশীদারদের সামর্থ্য বাড়াতে সহযোগিতা করছে। টেক্সটাইল ও পোশাক খাতে জিআইজেডের সম্পৃক্ত হওয়ার সাফল্যের রূপরেখা তুলে ধরে জার্মান রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতেও এ বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। এ গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশকে টেক্সটাইল খাতে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়