তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন : পূর্ণ প্যানেলে জয়ী কাজিম-আয়েজ পরিষদ

আগের সংবাদ

যুদ্ধাপরাধ বিচারে স্থবিরতা ; বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে নিতে সরকারের আগ্রহ নিয়ে সংশয়! ট্রাইব্যুনালেও জনবল সংকট

পরের সংবাদ

জিতলে বেঁচে থাকবে স্বপ্ন, হারলে বিদায়

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ফুটবলে বাংলাদেশ শেষ সাফল্যের দেখা পেয়েছে ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় লালসবুজের প্রতিনিধিরা। এর পরের মৌসুম ২০০৫ সালে অবশ্য রানার্স আপ হয় বাংলাদেশ। কিন্তু তারপর থেকে বাংলাদেশের ফুটবলের গল্প শুধুই ব্যর্থতার। আগের সব হতাশাকে কাটিয়ে এবার বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের মুখে হাসি ফোটাবার অঙ্গীগার নিয়ে মালদ্বীপে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৩তম আসরে পা রেখেছে জামালরা। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ড্র করে তপুরা নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বাংলার মানুষদের। কিন্তু মালদ্বীপের বিপক্ষে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে হেরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি আসরে বাংলাদেশের জন্য ফাইনাল যাত্রা ধূসর হয়ে উঠেছে। তবে স্বপ্ন একেবারে হাতছাড়া হয়ে যায়নি। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশ উঠে যাবে আসরটির ফাইনালে। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প নেই জামাল বাহিনীর। শেষ ম্যাচ হারলে তো ফাইনালের আশা মরবেই, ড্রয়ে লাভ হবে না অস্কার ব্রæজনের শিষ্যদের। বাঁচামরার লড়াইয়ে আজ মালদ্বীপ জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে বিকাল ৫টায় নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের চলতি আসর থেকে ইতোমধ্যে ছিটকে গেছে শ্রীলঙ্কা। বাকি চার দল বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং মালদ্বীপ সবার সুযোগ রয়েছে ফাইনাল খেলার। তবে সেক্ষেত্রে জয় ছাড়া বিকল্প নেই বাংলাদেশ ও ভারতের। পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থাকা নেপাল ও মালদ্বীপ অবশ্য ড্রয়ে ম্যাচ শেষ করতে পারলেও ফাইনাল নিশ্চিত করবে। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ লড়বে নেপালের বিপক্ষে। আর ভারত খেলবে মালদ্বীপের বিপক্ষে। ৩ ম্যাচ খেলে নেপালের পয়েন্ট সংখ্যা ৬ আর সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৪। অন্যদিকে ৩ ম্যাচে মালদ্বীপের পয়েন্ট ৬ এবং ভারতের ৫। নেপালকে হারাতে পারলে বাংলাদেশের পয়েন্ট সংখ্যা বেড়ে হবে ৭। অন্যদিকে ভারত ড্র করলে হবে ৬, সেক্ষেত্রে মালদ্বীপের পয়েন্ট হবে ৭। আবার ভারত জিতলে দলটির পয়েন্ট সংখ্যা হবে ৮। ফলে মালদ্বীপ ও ভারতের ম্যাচ থেকেই যে কোনো এক দলই যাচ্ছে ফাইনালে। আর বাংলাদেশকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেতে হলে নেপালের বিপক্ষে অবশ্যই জয় পেতে হবে। সমীকরণ বলছে বুধবারের ম্যাচ দুটিতে যে জিতবে তারাই ফাইনাল খেলবে। আর ড্র করলে সুযোগ পাবে নেপাল ও মালদ্বীপ।
এদিকে জয়ের বিকল্পহীন পরিস্থিতিতে নিজেদের ওপর চাপ দেখছেন না বাংলাদেশ দলের মিডফিল্ডার রাকিব হোসেন ও টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু। দুজনেরই দাবি, বাংলাদেশ নয়, বরং চাপে আছে নেপাল। এর আগে ২০১৮ সালের সাফে গ্রæপ পর্বে বাংলাদেশ ছিটকে গিয়েছিল নেপালের বিপক্ষে হেরে। গ্রæপ পেরুতে হলে সেই ম্যাচে জয়ের বাধ্যবাধকতা ছিল দলের। কিন্তু চাপে ভেঙে পড়ে দল হেরে যায় ২-০ গোলে। এবারো একই পরিস্থিতির মুখে বাংলাদেশ। তবে বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় রাকিব ও রুপু দুজনই বললেন, চাপে নেই বাংলাদেশ। কার্ডের কারণে মালদ্বীপের বিপক্ষে হেরে যাওয়া ম্যাচে খেলতে পারেননি রাকিব। দুই দিন বিশ্রামের পর গত সোমবার মালের হেনভেইরু ট্রেনিং পিচে অনুশীলন সেরেছে দল। রাকিবও ফিরেছেন অনুশীলনে। ২২ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডার আশাবাদী মালদ্বীপ ম্যাচের ব্যর্থতা পেছনে ফেলার ব্যাপারে।
রাকিব তার সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মালদ্বীপ ম্যাচে সবাই চেষ্টা করেছিল কিন্তু হয়নি। আসলে সবাই ক্লান্ত ছিল। টানা তিনটা ম্যাচ খেলার কারণে সবাই নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। আমাদের সবার ইচ্ছা সামনের ম্যাচে ভালো কিছু করার; সর্বোচ্চটা দেয়ার। আসলে আমরা সবাই খেলি, সবাই চেষ্টা করি গোল করার, কিন্তু সবার হয় না। সামনের ম্যাচ নিয়ে কোচ আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সে অনুযায়ী যদি খেলতে পারি, তাহলে ভালো কিছু হবে।’ এ সময় আত্মবিশ^াসী রাকিব আরো বলেন, ‘এ ম্যাচে আমরা চাপে নেই। নেপালই চাপে থাকবে। ওদের যেহেতু ৬ পয়েন্ট, আমাদের ৪ পয়েন্ট, আমরা খেলব জয়ের জন্য। কোনো কৌশলে খেলবে দল এটা এখনই বলা যাবে না। তবে সবাই চেষ্টা করছি অ্যাটাকিং খেলার জন্য।’ অন্যদিকে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটিকে ‘সুবর্ণ সুযোগ’ হিসেবে দেখছেন রুপু। সাবেক এই তারকা ডিফেন্ডারও মনে করেন চাপে আছে তাদের প্রতিপক্ষ।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য নেপালকে হারাতে হবে। সে লক্ষ্য নিয়ে কোচ পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। কাজ করছেন। আমি মনে করি ৯০ মিনিটের খেলা এবং আমাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। ছেলেরা প্রস্তুত আছে। দেশের মানুষ যে আশা করে আছে, আমি আশা করি, ছেলেরা তাদের হতাশ করবে না। আমার কাছে যেটা মনে হয়, আমরা যদি এগিয়ে থাকতাম, তারা পিছিয়ে থাকত, তাহলে চাপটা আমাদের ওপর থাকত। বিষয়টা এরকম হতো, আমরা তাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারব কিনা। কিন্তু এখানে তাদেরই উল্টো চাপ নিতে হবে-বাংলাদেশকে আটকে রাখতে পারবে কিনা। তারা যদি পারে, তারা ফাইনালে উঠবে। আমরা যদি পারি, আমরা ফাইনালে উঠব। এটা আর সব ম্যাচের মতোই। আমি মনে করি, এটা আমাদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ; যেটা কাজে লাগাতে পারলে আমরা ফাইনালে খেলব।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়