প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ ডেস্ক : আইপিএলে এলিমিনেটর রাউন্ডে হেরে যাওয়ায় ফাইনাল খেলার স্বপ্নও শেষ হয়ে গেছে বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর। সেই সঙ্গে গত পরশু কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে অধিনায়ক হিসেবে আইপিএলের শেষ ম্যাচ খেলেছেন কোহলি। তাই এবারো খালি হাতে বিদায় নেয়া ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ককে ফেসবুক ওয়ালে আবেকঘন এক পোস্ট দিয়ে সান্ত¡না জানালেন প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। ক্রিকেটপ্রেমীরা ভাবছেন কে এই নাবিল? যিনি ভারতের কোহলিকে সান্ত¡না জানালেন। আসলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য নাবিল। সেবার খুব বেশি সুযোগ হয়নি মাঠে নামার। কিন্তু বয়সের কোটা ১৯ পার না হওয়ায় এবারো টিকে গেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। এছাড়া আইপিএলে কোহলির বিদায়ের দিন সান্ত¡না দিয়ে ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার বলেছেন, শিরোপা জেতার সৌভাগ্য সবার থাকে না। এই দুর্দিনে কোহলির প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে বাংলাদেশের যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য নাবিল ফেসবুকে লিখেছেন, প্রিয় বিরাট কোহলি। আপনার অশ্রæ দেখেছে অনেকে। ক্রিকেটের জন্য একজন খেলোয়াড়ের কতটা ভালোবাসা, সেটা আমি দেখলাম। আমি জানি, আপনি এখন নতুন মাইলফলক সেট করবেন। যেটার জন্য আপনি কাঁদলেন, তা অর্জন না করা পর্যন্ত থামবেন না। আপনার এই চ্যালেঞ্জ শুধু নিজের মধ্যেই থাকবে না। শিক্ষা হিসেবে আমার মতো তরুণদের হৃদয়ে বাজবে। আপনি আমার মতো মানুষের কাছে আশার প্রতিচ্ছবি। নেতৃত্ব একটি পদবি নয়, এটা ব্যক্তিত্ব, যার ধারক আপনি।
এর আগে ২০১১ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারত। সবার মতোই টিভির পর্দায় সেই ম্যাচ দেখেছেন নাবিল। তার আশা ছিল, ম্যাচ শেষে মেতে উঠবেন জয়ের উল্লাসে। কিন্তু টাইগাররা ম্যাচটা হেরে যায় ৮৭ রানে। আর ভারতের জয়ের অন্যতম নায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি। তিনি দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুর্ণ প্রদর্শন করে অপরাজিত ১০০ রান করেন। তার ব্যাটে ভর করেই ৩৭০ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ভারত। এরপরই কোহলির ভক্ত হয়ে যান নাবিল।
এছাড়া এবার আইপিএলে শিরোপা জিতে অধিনায়ক কোহলির শেষ মৌসুমকে স্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলেন তার সতীর্থরা। কিন্তু ব্যাঙ্গালুরুর অধিনায়কের শেষ ম্যাচটিও আনন্দময় হলো না।
এ বিষয়ে স্টার স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সুনীল গাভাস্কার বলেছেন, সবাই চায় তার শেষটা ভালো হোক। কিন্তু ব্যাপারটা সব সময় নাও হতে পারে। দেখুন, স্যার ড্রন ব্র্যাডম্যানের কী হয়েছিল। তার জীবনের সর্বশেষ ইনিংসে মাত্র চার রান প্রয়োজন ছিল। অথচ কোনো রান না করেই মাঠ থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাকে। এমনকি শচিন টেন্ডুলকারও শেষে সেঞ্চুরি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার ২০০তম ম্যাচে ৭৯ রান করে তিনি অলআউট হয়েছেন। এটি অবশ্যই হতাশাজনক। প্রত্যেকেই একটি উচ্চতায় থেকে শেষ করতে চায়। ব্যক্তিগতভাবে আপনি নিজেও একটি বিশেষ উচ্চতায় থেকে শেষ করতে চাইবেন। গল্পের শেষটা সব সময় সেভাবে আসলে হয় না। প্রত্যেকের সেই উচ্চতায় পৌঁছানোর সৌভাগ্য হয় না। আরসিবির জন্য সে যা করেছে তা নিয়ে কি কেউ বিতর্ক করতে পারে? ওর মতো পারফরম্যান্স অন্যদের ক্ষেত্রে বিরল। ব্যাঙ্গালুরুর জন্য জন্য সে কি করেছে তা দেখুন। সে ব্যাঙ্গালুরুকে বড় দলের তকমা পেতে সাহায্য করেছে, এক ধরনের ব্র্যান্ড গঠন করেছে, যা খুব কম ক্রিকেটারই তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য করতে পেরেছে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।