তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন : পূর্ণ প্যানেলে জয়ী কাজিম-আয়েজ পরিষদ

আগের সংবাদ

যুদ্ধাপরাধ বিচারে স্থবিরতা ; বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে নিতে সরকারের আগ্রহ নিয়ে সংশয়! ট্রাইব্যুনালেও জনবল সংকট

পরের সংবাদ

কুমিল্লায় মানববন্ধন : প্রাথমিক শিক্ষকদের চার দফা দাবি

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম ফিরোজ মিয়া, কুমিল্লা থেকে : জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ৮ বছর পর এক চিঠিতে বাতিল করা টাইমস্কেল ও ১৩তম গ্রেড চালু রাখাসহ চার দফা দাবিতে কুমিল্লায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন। পরে একই দাবিতে তারা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতি জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। তাদের অপর তিনটি দাবি হচ্ছে- অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ১২ আগস্টের পত্রটি বাতিল করে শিক্ষকদের বেসরকারি চাকরির ৫০ ভাগ গণনায় চাকরিকাল ভিত্তিতে টাইমস্কেল, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পিআরএল, লামগ্র্যান্ড, পেনশন ও আনুতোষিক প্রদান অব্যাহত রাখা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একই সালের ১৫ নভেম্বর জারিকৃত পত্র প্রত্যাহার করে বেসরকারি চাকরির অনুরূপ গণনায় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান এবং যেসব শিক্ষকের নাম সরকারি গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়নি তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা।
সমিতির জেলা সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সমিতির চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক সুবাশ চন্দ্র দাশ, চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি এস এম ইছহাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সভাপতি রফিকুল ইসলাম, চাঁদপুর সভাপতি আহসান হাবিবসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা।
বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি শিক্ষকদের জাতীয় মহাসমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত ১ লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণ ঘোষণা করেন। পরে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয় এবং ওই শিক্ষকদের বেসরকারি চাকরির ৫০ ভাগ চাকরিকাল ধরে ২০১৪ সালের ৫ জুন জারিকৃত পরিপত্র অনুযায়ী তারা জ্যেষ্ঠতা, বেতনভাতা, টাইমস্কেলসহ আর্থিক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু ৮ বছর পর ২০২০ সালের ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক চিঠির মাধ্যমে টাইমস্কেল বাতিল করে গ্রহণ করা অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য শিক্ষকদের নির্দেশ দেয়া হয়। এতে কুমিল্লার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষকসহ দেশের ৫০ হাজার শিক্ষককে অন্তত ১০ লাখ টাকা করে ফেরত দিতে হবে এবং শিক্ষক ও তাদের পরিবারকে অভাব-অনটনে পথে বসতে হবে। অবিলম্বে চার দফা দাবি না মানলে তারা দেশব্যাপী লাগাতার অনশনসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন। এ কর্মসূচিতে জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষক অংশ নেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়