তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়ন : পূর্ণ প্যানেলে জয়ী কাজিম-আয়েজ পরিষদ

আগের সংবাদ

যুদ্ধাপরাধ বিচারে স্থবিরতা ; বাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এগিয়ে নিতে সরকারের আগ্রহ নিয়ে সংশয়! ট্রাইব্যুনালেও জনবল সংকট

পরের সংবাদ

কাব্যেও দুর্গা মা একটি সাধারণ মেয়ে

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১ , ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

শারদীয় দুর্গোৎসব বাংলাদেশের বাইরে এই উপমহাদেশের আর কোথাও এত ব্যাপকভাবে ও বিচিত্ররূপে মহাআনন্দে ও আড়ম্বরে উদযাপিত হয় না। এই উপমহাদেশের অন্যত্র এই পূজার শেষ দিনটিই অর্থাৎ দশমীর দিনটি ‘দশেরা’ নামে বিপুল উৎসাহে পালন করা হয়। বাঙালির দুর্গাপূজার একটি বাঙালিয়ানা রূপ রয়েছে ধর্মতাত্ত্বিক দিক ব্যতিরেকে; সেটি হলো এই দিনে মেয়ে বাপের বাড়ি আসে; তিন দিন পরে চতুর্থ দিনে আবার স্বামীগৃহে ফিরে যায়। বাঙালির কাব্যেও দুর্গা মা বাঙালির একটি সাধারণ মেয়ে হিসেবেই নিজের পরিচয় দিচ্ছেন। ভারত চন্দ্রের কাব্যে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তার স্বামী কে, তিনি শিবের পরিচয় দিচ্ছেন এভাবে :
অতি বড় বৃদ্ধ পতি সিদ্ধিতে নিপুণ
কোনো গুণ নাই তার কপালে আগুন।
বাংলা সাহিত্যে এটি ব্যজস্তুতির এক অসাধারণ উদাহরণ। ‘অতি বড় বৃদ্ধ পতি’ বলতে বোঝানো হচ্ছে, তিনি বিশ্বের অধিপতি; ‘সিদ্ধিতে নিপুণ’ বলতে বোঝানো হচ্ছে, সবকিছুই তার, সবকিছুতেই তিনি সিদ্ধ। ‘কপালে আগুন’ অর্থ তিনি সর্বশক্তিধর, ত্রিনয়নবিশিষ্ট।
বাঙালি জীবনে কন্যার পিতৃগৃহে আসা এবং ফিরে যাওয়া দুটিই একই সঙ্গে বিশাল আনন্দ ও বেদনার। দুর্গাপূজার অন্তে এই বেদনার রূপ খ্রিস্টান কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তও বর্ণনা করেছিলেন এভাবে : ‘বিসর্জিত প্রতিমা যেন দশমী দিবসে’। এই পূজায় ধর্ম যেমন একটি বড় বিষয়, তার চেয়েও বড় বিষয় হলো সার্বজনীন কল্যাণ কামনা। আমি এই শুভ সময়ে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের এবং সর্ব মানবের মঙ্গল কামনা করি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়