২৩ অক্টোবর ভোট গ্রহণ : বিএফইউজের নির্বাচনে আর বাধা নেই

আগের সংবাদ

বাঙালির মাতৃপূজা দেশমাতৃকার পূজা থেকে আলাদা নয়

পরের সংবাদ

সেতু না থাকায় বিচ্ছিন্ন বরিশালের ৩ উপজেলা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম কে রানা, বরিশাল থেকে : আড়িয়াল খাঁ নদীতে সেতু না থাকায় বরিশাল জেলার সঙ্গে বিচ্ছিন্ন ৩ উপজেলা। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ নেই ৩ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা ও মুলাদীর। এতে করে প্রায় ২০ লাখের বেশি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। দিনে ছোট নৌকায় করে নদী পার হওয়া গেলেও রাতে একদম বিচ্ছিন্ন জনপদে পরিণত হয় এ ৩ উপজেলা। যদিও আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২০১২ সালে সেতু নির্মাণের সমীক্ষা হলেও এখন অর্থ ছাড়ের অপেক্ষায় রয়েছে তা বাস্তবায়ন।
জানা গেছে, আড়িয়াল খাঁ নদীর মীরগঞ্জ খেয়াঘাটে যাত্রী হয়রানি নিত্যসঙ্গী। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এ খেয়াঘাট পার হয়ে হিজলা মুলাদী যায়। সমগ্র বরিশাল ঘুরে এ খেয়াঘাটে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের। দ্রুত পার হওয়ার জন্য যারা ট্রলারে উঠেন তাদেরই বেশি বিপাকে পড়তে হয়। অনেক সময় দ্বিগুণ ভাড়া দিয়েও পার হতে হয় তাদের। এছাড়া একটি প্রভাবশালী মহল ফেরিতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হয়রানি বন্ধে তাই আড়িয়াল খাঁ নদীতে একটি সেতুর দাবি স্থানীয়দের।
আড়িয়াল খাঁ নদীর খেয়াঘাটে আসা মোটরসাইকেল চালক নান্না মিয়া জানান, সন্ধ্যার আগে নদী পার হতে না পারলে আজ আর যাওয়া হবে না। চোখে-মুখে তাই উৎকণ্ঠা। তিনি বলেন, কোনো ক্রমে রাত যদি বেশি হয়ে যায়, ঢাকা থেকে যদি কোনো যাত্রী আসে তখন পারাপার সম্ভব না। খেয়াঘাটে ফেরি এবং ট্রলারের অপেক্ষায় থাকায় অনেকেই অভিযোগ করেন, অনেক সময় ভাড়া নিয়ে ঝামেলা হয়। যেখানে ৪-৬ টাকা ভাড়া সেখানে নেয়া হচ্ছে ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত।
বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক জানান, মীরগঞ্জের আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য একনেক সভায় উত্থাপিত হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সেতু বিভাগের সচিব সরেজমিনে সেতু এলাকা পরিদর্শন করে সম্ভাব্যতা যাচাই করেছেন। তাছাড়া ৩ মাস ধরে সেতু নির্মাণের সমীক্ষা কাজ চলমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমীনুল ইসলাম জানান, এই সেতুটির দৈর্ঘ্য দেড় কিলোমিটারের উপরে হওয়ায় বিষয়টি সেতু বিভাগ দেখছে। এখানে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই।
তবে সেতুটি নির্মাণ হলে ৩ উপজেলার মানুষের উপকারের পাশাপাশি এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে বলে আশা করেন তিনি।
সেতু বিভাগের সচিব আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, সরকারের কাছে অবশ্যই এটা তালিকাভুক্ত আছে। অমরা চেষ্টা করব দ্রুত যাতে এটা বাস্তবায়ন করা যায়। আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ হলে ৩ উপজেলার ২০ লাখের বেশি মানুষ সরাসরি সড়ক যোগাযোগের আওতায় আসবে এমনটিই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়