২৩ অক্টোবর ভোট গ্রহণ : বিএফইউজের নির্বাচনে আর বাধা নেই

আগের সংবাদ

বাঙালির মাতৃপূজা দেশমাতৃকার পূজা থেকে আলাদা নয়

পরের সংবাদ

চীনে বৃষ্টিজনিত বন্যায় গৃহহারা ২০ লাখ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : চীনের উত্তরাঞ্চলীয় শ্যানশি প্রদেশে ব্যাপক বন্যায় ১৭ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি লোক উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছেন বলে খবর দিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে প্রদেশটির ৭০টির বেশি জেলা ও শহরে বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে এবং ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধার কাজে বিঘœ ঘটছে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
প্রতিবেশী হেনান প্রদেশে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর তিন মাসের মধ্য শ্যানশিতে এই বন্যা দেখা দিল। ভারি ও দীর্ঘায়িত বৃষ্টিপাত এবং ঝড়ের কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা বিঘিœত হচ্ছে বলে চীনের আবহাওয়া প্রশাসনের বরাতে জানায় স্থানীয় গণমাধ্যম। কর্তৃপক্ষ বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে জানায়, এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি লোককে জরুরিভিত্তিতে সরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। শ্যানশি প্রদেশজুড়ে ১৭ লাখ ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত গেøাবাল টাইমসের খবর অনুযায়ী, প্রদেশটিতে ভূমিধসে চার পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু ঘটেছে। তবে অন্যান্য হতাহতের বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা।
শ্যানশির বন্যা হেনানের চেয়েও মারাত্মক হতে পারে বলে টাইমসের প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রাদেশিক রাজধানী তাইওয়ানে প্রায় ১৮৫ দশমিক ছয় মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। অথচ ১৯৮১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত শহরটিতে অক্টোবরের গড় বৃষ্টিপাত মাত্র ২৫ মিলিমিটার।
বিবিসি জানায়, তাইওয়ানে উদ্ধারকারীরা মেগাফোন ব্যবহার করে আটকে পড়া লোকদের বলছেন, শিশুদের মাথার উপরে তুলে ধরে রাখুন। নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বৃদ্ধ ও নারীরা অগ্রাধিকার পাবেন। আতঙ্কিত হবেন না, সবাইকে উদ্ধার করা হবে।
শ্যানশি একটি গুরুত্বপূর্ণ কয়লাখনি অঞ্চল। কিন্তু বৃষ্টির কারণে চীন সরকার সেখানকার খনি ও রাসায়নিক কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছে। ইতোমধ্যেই চীন বিদ্যুৎ সংকটের মুখে পড়েছে। এতে বিস্তৃত অঞ্চল বিদ্যুৎবিহীন হয়ে ছিল আগে থেকেই। সরকার বন্দর ও কারখানাগুলোতে বিদ্যুতের ব্যবহার সীমিত করেছে। স্থানীয় সরকার জানায়, তারা ৬০টি কয়লাখনি, ৩৭২টি অন্যান্য খনি ও ১৪টি বিপজ্জনক রাসায়নিক কারখানার কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। এর আগে আরো ২৭টি কয়লাখনির কার্যক্রম ৪ অক্টোবর বন্ধ করা হয়। শ্যানশিতে অনেক প্রাচীন স্মৃতিস্তম্ভ আছে। টানা বৃষ্টির কারণে সেগুলো বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে জানায় বিবিসি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়