২৩ অক্টোবর ভোট গ্রহণ : বিএফইউজের নির্বাচনে আর বাধা নেই

আগের সংবাদ

বাঙালির মাতৃপূজা দেশমাতৃকার পূজা থেকে আলাদা নয়

পরের সংবাদ

‘ঘণ্টা’ বাজালেই বড় কর্তার সাড়া

প্রকাশিত: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১২, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কামরুজ্জামান খান : বিদেশে শ্রমিক পাঠানো নিয়ে প্রায়ই মিলছে হয়রানির অভিযোগ। অনেক অভিযোগের প্রতিকার মিলছে না। এ অবস্থায় নাগরিক দুর্ভোগ কমাতে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে (বিএমইটি) চালু হতে যাচ্ছে ‘সিটিজেন বেল’ বা ‘নাগরিক ঘণ্টা’। মো. শহীদুল আলম মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এ উদ্যোগ নেন। পরীক্ষামূলকভাবে চলছে এ কার্যক্রম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিনে ১৮ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবা চালু হবে। এর মাধ্যমে সেবা প্রার্থীদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমবে বলে মনে করেেছন বিএমইটি কর্মকর্তারা।
এ প্রসঙ্গে মো. শহীদুল আলম গতকাল সোমবার বিকেলে এ প্রতিবেদককে জানান, জনমুখী প্রশাসনের মূলভিত্তি এবং আদর্শ সহজ ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে বিদ্যমান সক্ষমতার মধ্যে জনসেবাকে আরো সহজতর করতে প্রতিনিয়ত চলছে নানামুখী প্রচেষ্টা ও উদ্ভাবন। উদ্ভাবনে সম্পৃক্ত থেকে সেবা দাতা এবং সেবা গ্রহীতার মধ্যে নৈকট্য সৃষ্টিকল্পে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছিল নাগরিক ঘণ্টা। ধারণাগতভাবে নাগরিক ঘণ্টাকে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রকাশ এবং সম্পদ ও মর্যাদার প্রতীক বলে গণ্য করা হয়। ঘণ্টা বাজালে তাই ক্ষমতাবানের বাহক দ্রুত সেবায় উদগ্রীব হলেও সাধারণ জনগণের হাতে ঘণ্টার বাটন চাপার ক্ষমতা ছিল না। সেই শূন্যতা পূরণ করতে এবং সহজে সেবা প্রাপ্তিকে নাগরিকের একান্ত অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঘণ্টা বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, সিটিজেন চার্টারের প্রচলন বেশ কয়েক বছর হলেও কাক্সিক্ষত সেবা অপ্রাপ্তিতে তার ন্যায্য প্রতিকার ছিল কঠিনতর।
শহীদুল আলম জানান, তার কক্ষের দরজার বাইরে থেকে যে কেউ এই ঘণ্টার বাটন চাপলে তিনি মনিটরে সরাসরি তাকে দেখে কথা বলতে পারবেন। অপেক্ষমাণ ব্যক্তি সরাসরি মহাপরিচালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তিনি ভেতর থেকে রিমোট চেপে দরজার লক খুলে দিবেন। এ ছাড়া, এই ঘণ্টা বাজিয়ে যে কেউ তাকে অতি জরুরি বিষয়ে অবগত করতে পারবেন। বিএমইটির সেবাবঞ্চিত হয়ে নালিশ জানালে তাৎক্ষণিক মিলবে প্রতিকার। কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও জানানো যাবে এই ঘণ্টা বাজিয়ে। শহীদুল আলম দাবি করেন, কারো অনুকরণে নয়, নিজের তাগিদ থেকেই তিনি এই সেবা চালু করেছেন। কার্যকরী সেবার মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করাই লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রশাসনিক সেবাপ্রত্যাশী জনগণের ভোগান্তি ও হয়রানি রোধে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চালু হয়েছিল সিটিজেন বেল (ঘণ্টা)। ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর রবিবার বরিশাল মুক্ত দিবসে জেলা প্রশাসকের কক্ষের দরজার সামনে ফিতা কেটে এবং বেল টিপে নাগরিক সেবার দ্বার উন্মুক্ত করেন জেলা তৎকালীন জেলা প্রশাসক কবি মো. শহীদুল আলম। সেখানে তিনি ৩ বছর দ্বায়িত্ব পালনকালে কেউ সংক্ষুদ্ধ হলে, বিচার না পেলে, কাক্সিক্ষত সেবা না পেলে, কোনো কর্মকর্তা অসহযোগিতা করলে ওই ঘণ্টা বাজিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিকার চাওয়া এবং পাওয়া যেত। অবশ্য তার বিদায়ের পরই সরিয়ে ফেলা হয় ওই ঘণ্টা!

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়