করোনা আপডেট : মৃত্যু বেড়েছে শনাক্ত কমছে

আগের সংবাদ

নৌকা বেহাত, আছে বিদ্রোহীও

পরের সংবাদ

রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু : পানি বাড়লে ডুবে যায় কেন?

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মাহফুজ আলম, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে : বর্ষা মৌসুমের পরপরই কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়লে ডুবে যায় পর্যটন শিল্পের আকর্ষণ ‘সিম্বল অব রাঙামাটি-খ্যাত ঝুলন্ত সেতু। এতে সেতুটিতে উঠতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যান পর্যটকরা। অনুসন্ধানে জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদের একটি অংশের ওপর রাঙ্গামাটি অবস্থিত পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স। এর পাশের দুটো পাহাড়কে সেতুর মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয় ১৯৮৫ সালে। আর এটি দেশব্যাপী পরিচিতি পায় ‘ঝুলন্ত সেতু’ নামে। তখন পর্যটকদের বিষয়টি মাথায় রেখে সেতু নির্মাণ করা হলেও কাপ্তাই কৃত্রিম হ্রদের পানির সম্পর্কে সঠিক ধারণা না রেখে নির্মাণ করায় সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। উল্লেখ্য, সেতুটি উদ্বোধনের দুবছর পরই ১৯৮৭ সালে বর্ষা মৌসুমে সেতুটি পানির নিচে ডুবে যায়।
এ ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আশা পর্যটক তাইফ নুর, সোনিয়া সুলতানা, রুভের, পাপিয়া, লাবনী বলেন, রাঙ্গামাটির প্রধান আকর্ষণ ঝুলন্ত সেতু। কিন্তু এত দূর থেকে এসে যসি সেই সেতুতেই উঠতে পারি। তাহলে এর চেয়ে বড় আফসোস কী হতে পারে। এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, সেতুটি দেখতে আসে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ। যখন সেতুটি ডোবা থাকে বাণিজ্যিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় পর্যটন করপোরেশন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, নির্মাণশৈলীর কারণেই বর্তমানে সেতুটি সংস্কার করা কঠিন এবং ব্যয়বহুল। তাই আরেকটি বিকল্প সেতু নির্মাণ করা যেতে পারে আরো আধুনিক ও নান্দনিকভাবে। এর ফলে বৈচিত্র্য আসবে এবং দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে।
কাপ্তাই বোট মালিক সমিতির সাধারণ মো. ইদ্রীছ ও কাপ্তাই ধাবা হোটেলের ব্যবস্থাপক কামাল হাকিম মুন বলেন, রাঙ্গামাটি ঝুলন্ত সেতু দীর্ঘ দিন হ্রদের পানিতে তলিয়ে থাকায় পর্যটকরা কাপ্তাইয়ে আসা কমিয়ে দিয়েছে। ফলে পর্যটননির্ভর ব্যবসায়ে ধস হওয়ায় উপার্জন কমে গেছে। পাশাপাশি পর্যটকরা ঝুলন্ত সেতুতে বেড়াতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরছেন। এদিকে রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সেতু ডুবে যাওয়ার বিষয়টি ট্যুরিজম বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে এবং এর সমাধানে লিখিতভাবেও অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি আন্তরিকভাবে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। কারণ এ সময়ে পর্যটন ও পর্যটকদের ক্ষতি হওয়া মানেই অর্থনৈতিক ক্ষতি।
এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বডুয়া বলেন, সেতুটি নির্মাণ ব্যয় বেশি ছিল না, তাই ত্রæটি থাকায় সমস্যা রয়ে গেছে। ফলে ভোগান্তিও আছে। বর্তমানে সেতুটি সংস্কার করা কঠিন হবে। তারপরও এ বিষয়ে একটি কারিগরি কমিটি রয়েছে বিষয়টি দেখভাল করছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা বলেন, এ ব্রিজটির আরেকটির বিকল্প সেতু করা হলে সবচেয়ে ভালো হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়