করোনা আপডেট : মৃত্যু বেড়েছে শনাক্ত কমছে

আগের সংবাদ

নৌকা বেহাত, আছে বিদ্রোহীও

পরের সংবাদ

জামালদের স্বপ্ন বাঁচানোর মিশন

প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১১, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এবার বেশ দাপটে খেলছে বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ারা নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয়ের সমান ড্র করেছে। কিন্তু ৭ অক্টোবর তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে খেই হায়ার অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। ওই ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছে জামালরা। এ ম্যাচটি জিততে পারলে ফাইনালমঞ্চে এক পা দিয়ে রাখত লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফলে মালদ্বীপের বিপক্ষে হেরে ধূসর হয়ে গেছে জামাল-তপুদের স্বপ্ন। নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ মাঠে নামবে ১৩ অক্টোবর। এ ম্যাচটি লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের জন্য বেশ গুরুত্বর্পূ। নেপালের বিপক্ষে ¯œায়ুচাপ থাকলেও লড়বে জামালরা। কারণ এটি তাদের বাঁচা-মরার লড়াই। সেই লক্ষ্যে গতকাল কঠোর অনুশীলন করেছেন অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। এদিন বেশ ফুরফুরে মেজাজে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন জামাল-সুফিলরা। এর আগে মালদ্বীপের বিপক্ষে হারের পর ৮ ও ৯ অক্টোবর বিশ্রামে ছিলেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। টানা তিন ম্যাচ খেলার পর দুই দিন শিষ্যদের বিশ্রাম দিয়েছেন হেড কোচ। বিশ্রামের সময় বাংলাদেশ দল হোটেলে জিম, সুইমিং করে ফিটনেস ঠিক রেখেছে। তাই গতকাল অনুশীলনে বেশ উচ্ছ¡সিত ছিল জামালরা।
তারা জানেন, নেপালের বিপক্ষে জিততে পারলে ফাইনালে ওঠা অনেকটাই নিশ্চিত হবে। তাছাড়া কঠিন সমীকরণ মাথায় রেখে ফাইনালে খেলার আশা ছাড়ছেন না বাংলাদেশের হেড কোচ অস্কার ব্রুজন। তিনি জানেন, ফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ তো জিততেই হবে। পাশাপাশি চেয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর ফলের দিকেও। তবে যাইহোক নেপালের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প নেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নেপাল ২ ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। আর স্বাগতিক মালদ্বীপ ৩ ম্যাচ খেলে ২ জয় ও ১ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে। তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ ৩ ম্যাচ খেলে ১ জয়, ১ ড্র ও ১ হারে ৪ পয়েন্ট তুলতে সক্ষম হয়েছে। ফলে শঙ্কা আছে জামালদের ফাইনাল খেলা নিয়ে। কিন্তু মালদ্বীপের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেলেও ফাইনালে খেলার আশা ছাড়ছেন না অস্কার ব্রুজন। ইতোমধ্যে তিনি চতুর্থ ম্যাচে নেপাল বধের ছক কষতে শুরু করেছেন। এই দলের বিপক্ষে ম্যাচটি বড় চ্যালেঞ্জ অস্কারের জন্য। তিনি সেই চ্যালেঞ্জ কীভাবে সামাল দেবেন সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন ফুটবলপ্রেমীরা। এছাড়া নেপাল ম্যাচের আগে গুরুত্বপূর্ণ ও পরীক্ষিত ডিফেন্ডার ইয়াসিনকে না পাওয়া বাংলাদেশ দলের জন্য দুঃসংবাদ।
বাঁচা-মরার লড়াই শেষ ম্যাচে কার্ডজনিত কারণে খেলতে পারবেন না তিনি। তার গোলেই ভারতের বিপক্ষে এক পয়েন্ট পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ইয়াসিন ছিটকে গেলেও পরের ম্যাচে দলে ফিরবেন উইঙ্গার রাকিব হোসেন ও ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। এর আগে ইয়াসিন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে কার্ড দেখেছিলেন। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষেও কার্ড দেখেছেন। এমনকি ওই ম্যাচে ইয়াসিন ছাড়াও কার্ড দেখেছেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, তারিক কাজীসহ আরো দুই ফুটবলার। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী দুই কার্ড দেখলে পরবর্তী ম্যাচ নিষিদ্ধ। সেই হিসেবে নেপাল ম্যাচে গ্যালারিতে থাকতে হবে ভারত ম্যাচের গোলদাতা ইয়াসিনকে।
এর আগে মালদ্বীপের বিপক্ষে লড়াই করে হেরেছে বাংলাদেশ। তাছাড়া মালেতে পুরো ম্যাচে স্বাগতিকরা বেশ দাপট দেখিয়েছে। তারা গোলের সুযোগও বেশি পেয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশ রক্ষণ সামলিয়ে খেলার চেষ্টা করেও জাল অক্ষত রাখতে পারেনি। জামাল-ইয়াসিনদের মধ্যে ফাউল করে খেলার প্রবণতা ছিল। এর জন্য হলুদ কার্ডও দেখতে হয়েছে ৫টি। একপর্যায়ে দলকে কিছুটা ক্লান্তই মনে হয়েছে। প্রথমার্ধে সমান তালে পাল্লা দিয়ে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে খেই হারিয়ে ফেলে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্র থাকার পর বিরতির পর স্বাগতিকরা খেলার ধারায় পরিবর্তন এনে সফল হয়। প্রথমার্ধে সাদামাটা লড়াই করে বাংলাদেশ। সেই লড়াইয়ের মাশুল দিতে হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট না পেরোতেই। ৫৫ মিনিটে হামজা মোহাম্মদের দারুণ বাইসাইকেল কিকে গোল হজম করে ব্রুজনের শিষ্যরা। ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে গোল পরিশোধে বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েও সফল হয়নি জামালরা। মালদ্বীপের গতিময় ফরোয়ার্ডদের রুখতে বক্সের আশপাশে ফাউল করেছেন বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা। ৭৪ মিনিটে পেনাল্টি থেকে বাংলাদেশের জালে দ্বিতীয়বারের মতো বল পাঠান মালদ্বীপের আলী আশফাক। ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা গোলের নেশায় আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। আলী আশফাক দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সেরা ফুটবলার। তাকে বিশেষ নজরে রেখেছিলেন তপুরা। এর মধ্যেও বক্সের মধ্যে বল নিয়ে কাড়িকুড়ি দেখিয়েছেন। তার কয়েকটি দুর্দান্ত শট রুখে দিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেছেন গোলরক্ষক জিকু।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়