ই-কমার্স নিয়ে অভিযোগের পাহাড় ভোক্তা অধিদপ্তরে : বর্তমানে ভোক্তায় অভিযোগ ২২ হাজার, ৩ মাসে অভিযোগ বেড়েছে ৯ হাজার

আগের সংবাদ

মিলছে টিকা, করোনায় স্বস্তি : তবুও মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি, নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত

পরের সংবাদ

ল²ীপুরে শিক্ষার্থীদের চুল কর্তন : কৃতকর্মের জন্য শিক্ষককে পাঠানো হলো শ্রীঘরে

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, ল²ীপুর : ল²ীপুরে শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনায় মাদ্রাসা শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির মঞ্জুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে চুল কেটে দেয়া এক শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে রায়পুর থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাজির দীঘিরপাড় এলাকা থেকে তাকে আটক করে রায়পুর থানা পুলিশ।
এদিকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা বালাগাত উল্ল্যাহ জানান, গ্রেপ্তারকৃত শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ঘটনার শিকার শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শ্রেণিকক্ষে পাঠ্য কার্যক্রমে অংশ নেয় তারা। তাদের ইংরেজি ক্লাস চলাকালীন মাদ্রাসার জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মঞ্জুরুল কবির এসে শ্রেণিকক্ষ থেকে ছয় শিক্ষার্থীকে ডেকে ক্লাসের বাইরে বারান্দায় নিয়ে আসেন। এ সময় তিনি ছাত্রদের সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে একটি কাঁচি এনে একে একে সবার মাথার সামনের অংশের চুল কেটে দেন। চুল কাটার পর লজ্জায় ওই শিক্ষার্থীরা ক্লাস না করে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে যায়। এর পর মাদ্রাসার দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থী নাজমুল আলম ও ফজলে রাব্বীসহ কয়েকজন ঘটনার প্রতিবাদ জানালে পরবর্তী সময়ে মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকদের মধ্যস্থতায় ছাত্ররা তাদের শ্রেণিকক্ষে ফিরে যায়।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, সাত দিন আগে চুল কাটার নির্দেশ দিলেও আমরা তা না মানায় স্যার আমাদের চুল কেটে দিয়েছেন। এ ঘটনার ১ মিনিট ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শুক্রবার সকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় শিক্ষককে শুক্রবার রাতে আটক করা হয়। এরপর রাতে এক শিক্ষার্থীর মা চুল কাটার ঘটনায় বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ জানান, এক ছাত্রের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের কাজির দীঘিরপাড় এলাকা থেকে তাকে আটক করে রায়পুর থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়