ই-কমার্স নিয়ে অভিযোগের পাহাড় ভোক্তা অধিদপ্তরে : বর্তমানে ভোক্তায় অভিযোগ ২২ হাজার, ৩ মাসে অভিযোগ বেড়েছে ৯ হাজার

আগের সংবাদ

মিলছে টিকা, করোনায় স্বস্তি : তবুও মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি, নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত

পরের সংবাদ

রাজাপুরে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি : রাজাপুর উপজেলার ৯১নং পশ্চিম রাজাপুর ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে কোমলমতি শিশু-শিক্ষার্থীদের পাঠদান। এতে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে তিন কক্ষের এই ভবনটি নির্মিত হয়। কয়েক বছর আগেই ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্কুলের ক্লাসরুম সংকট থাকায় বাধ্য হয়ে তিনটি কক্ষের একটিতে ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। জরাজীর্ণ ভবনের একটি কক্ষ ও পাশের একটি ভবনের দুটি কক্ষে স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছয় শ্রেণির পাঠদান চলে। তিন কক্ষবিশিষ্ট জরাজীর্ণ ওই ভবনের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। ভবনের প্রতিটি পিলার ফেটে রড বের হয়ে গেছে। সিলিংয়ের পলেস্তারা খসে পরে রড বের হওয়াসহ বর্ষা মৌসুমে ছাদ থেকে সমানে পানি পড়ে। দরজা-জানালা অনেক আগেই খসে পড়েছে। এখন যে কোনো সময় ভবনটি ধসে পড়তে পারে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা সবসময় আতঙ্কে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পান। এ কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশু-শিক্ষার্থী আসিফ, জুনিয়া, মুন্নি, জামিলা জানায়, স্কুলের ভাঙা রুমে ক্লাস করতে ভয় হয়। এ কারণে অনেক সময় স্কুলে আসি না।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবক জানায়, স্কুলের যে অবস্থা যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। এ কারণে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকতে হয়। তাই বাধ্য হয়ে মাঝে মাঝে বাচ্চাদের স্কুলে যেতে বারণ করি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম চাঁন বলেন, ভবনটি যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। যার কারণে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে রয়েছে। এখন অভিভাবকরা আর তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চান না। এখন দ্রুত সংস্কারসহ নতুন ভবনের দাবি জানায় কর্তৃপক্ষের কাছে।উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুনিবুর রহমান বলেন, ওই বিদ্যালয় সম্পর্কে আমাকে কেউ জানায়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ডেকে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়