রিপন আহমেদ ভূঁইয়া, চান্দিনা (কুমিল্লা) থেকে : চান্দিনা উপজেলার ১৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। এছাড়া ৯১ জন সহকারী শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়গুলোতে পদ শূন্য থাকায় প্রশাসনিক কার্যক্রমও বিঘিœত হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
চান্দিনা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলায় মোট ১৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য ১৪টি বিদ্যালয়ের। প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকা বিদ্যালয়গুলো হলো ভাগুরাপাড়া, জামিরাপাড়া, আটচাইল, মধ্যমতলা, বশিকপুর, করতলা, খোববাড়িয়া নাজমা আক্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিরাখোলা, করইয়া, লেংড়ামুড়ি, লনাই, উবরা পাইকের করতলা, দক্ষিণ জোয়াগ ও আমলকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মধ্যমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. কবির হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক না থাকায় একটু কষ্ট হচ্ছে। তারপরও সবাই মিলে ভালো করার চেষ্টা করছি। শিক্ষা কার্যক্রম যেন ব্যাহত না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ও চান্দিনা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কমল বকসী বলেন, যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, সে বিদ্যালয়গুলোতে থাকা অন্য শিক্ষকদের খুব কষ্ট হচ্ছে। শূন্যপদগুলোর কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা হলেও ব্যাহত হচ্ছে। অতি দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শূন্যপদগুলো পূরণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই।
চান্দিনা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, যেসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেই, সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। করোনা ভাইরাসের কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। আশা করছি খুব দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হবে এবং শূন্য হওয়া পদগুলো পূরণ হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।