ই-কমার্স নিয়ে অভিযোগের পাহাড় ভোক্তা অধিদপ্তরে : বর্তমানে ভোক্তায় অভিযোগ ২২ হাজার, ৩ মাসে অভিযোগ বেড়েছে ৯ হাজার

আগের সংবাদ

মিলছে টিকা, করোনায় স্বস্তি : তবুও মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি, নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত

পরের সংবাদ

ধামইরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজ : ৪০ গাছ কেটে বিক্রি করলেন শিক্ষক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি : ধামইরহাটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গাছ গোপনে রাতের বেলায় কাটলেন এক শিক্ষক। গাছগুলো রাতের স-মিলে নেয়া হয়। সেখান থেকে কিছু গাছ বিক্রি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ধামইরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি চলছে। জানা গেছে, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্রতি রাতে কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক মো. নাসির উদ্দিন কলেজ কর্তৃপক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটিকে না জানিয়ে প্রায় ৪০টির মতো আকাশমনি ও ঘোড়ানিম জাতীয় গাছ কেটে নিয়ে যান। গাছ কাটার পর গাছের গোড়া মাটি দিয়ে ডেকে দেয়। পরবর্তী সময়ে কলেজের প্রতিবেশীরা গাছ কাটার বিষয়টি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার ফিজার আহমেদকে জানান।
স্থানীয় মৌসুমী স-মিলের পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ বিদ্যুৎ জানান, তার মিলে ভ্যানযোগে প্রায় এক সপ্তাহ আগে ধামইরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক নাসির উদ্দিন বিক্রির উদ্দেশ্যে ২১টি গাছের গুল নিয়ে আসেন। তার মধ্যে ১৪টি আকাশমনি গাছের গুল ইতোমধ্যে তিনি বিক্রি করেছেন। বাকি ৬টি ঘোড়ানিম গাছের গুল মিলে রয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রভাষক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, কলেজ পরিচালনা পর্ষদের মৌখিক আদেশ মোতাবেক কলেজের নতুন সীমানাপ্রাচীর সংলগ্ন এবং পতিত জমিতে রুপালি আমগাছ লাগালোর জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। আম গাছ লাগানোর জন্য গাছর সারি সোজা করতে কয়েকটি গাছ কেটেছি। গাছ ও খড়ি বিক্রির ৩ হাজার ৯০০ টাকা আমার কাছে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ আরো কয়েকজন শিক্ষক গাছ কাটার বিষয় জানেন। ধামইরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ অবসরে গেলে আমি সবেমাত্র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। আগের অধ্যক্ষের কাছ থেকে কলেজের প্রধান ফটকের চাবি নিয়েছিলেন শিক্ষক নাসির উদ্দিন। গাছ কাটার বিষয়ে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। ধামইরহাট মহিলা ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ড. ইঞ্জিনিয়ার ফিজার আহমেদ বলেন, গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কলেজের অতি পুরনো গাছগুলো কাটার জন্য সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রকার আলোচনা না করে নিজের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাতের বেলায় প্রায় ৪০টি গাছ কেটেছে মো. নাসির উদ্দিন। দ্রুত গভর্নিং বডির সভা ডেকে বিষয়টি আলোচনা করে দোষী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়