ই-কমার্স নিয়ে অভিযোগের পাহাড় ভোক্তা অধিদপ্তরে : বর্তমানে ভোক্তায় অভিযোগ ২২ হাজার, ৩ মাসে অভিযোগ বেড়েছে ৯ হাজার

আগের সংবাদ

মিলছে টিকা, করোনায় স্বস্তি : তবুও মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি, নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত

পরের সংবাদ

থামেনি রিজেন্সি হোটেলের অসামাজিক কার্যকলাপ : পুলিশের নোটিসেও পাল্টেনি দৃশ্যপট

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর রিজেন্সি হোটেল এন্ড রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপ থেমে নেই। প্রায় প্রতি রাতেই সেখানে জমজমাট ডিজে পার্টি ও মাদক আসরের আয়োজন করা হচ্ছে। অশ্লীলতাসহ অসামাজিক কার্যকালাপের মতো ঘটনাও এখন অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। ইতোপূর্বে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের পক্ষ থেকে নোটিস দিয়ে হোটেলটিকে সতর্ক করা হলেও মানা হচ্ছে না সেসব নির্দেশনা। পাঁচ তারকা মানের এ হোটেলকে ঘিরে অশ্লীলতা ও অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্দেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হোটেলটির ১৩ তলায় অবস্থিত ক্লাব-১৩ নামের বারটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত হলেও মানা হয় না লাইসেন্সের কোনো শর্ত। সেখানে ভোর পর্যন্ত চলে নাচ, ডিজে, আর মাদক সেবনের মহাযজ্ঞ। বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ এখানে এসে নামসর্বস্ব শিল্পীদের পাল্লায় পড়ে প্রতিনিয়ত নিঃস্ব হচ্ছেন। ব্ল্যাক মেইলের শিকারও হচ্ছেন অনেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হোটেলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবির রেজা এই বারের সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন। তার নির্দেশে হোটেলের অপারেশন হেড লাভলু বারটি পরিচালনা করেন। আর বারে নারী সাপ্লাই করেন শাহীন। ওই নারীদের দিয়েই গেস্টদের কাছে ইয়াবা, গাঁজাসহ নানাবিধ নেশার উপকরণ সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও হোটেলের ১৪ তলায় অবস্থিত বল রুমে প্রাইভেট পার্টির আয়োজন করা হয়। সূত্র আরো জানায়, কবির রেজা সিআইডির করা মানিলন্ডারিং মামলার আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে তারেক জিয়ার কাছে অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ, চাঁদাবাজি, প্রতারণার প্রায় ১৭টি মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, নানা অনিয়মের অভিযোগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ডিএমপির গুলশান বিভাগ থেকে হোটেল রিজেন্সিকে একটি নোটিস দেয়া হয়। তার আগে ২০১৬ সালের ৬ মে হোটেলটিতে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের অভিযানে বিপুল পরিমাণে অবৈধ মদ উদ্ধারের পাশাপাশি ও রাজস্ব খাতে অনিয়ম ধরা পড়ে। এ জন্য তাদের বিপুল পরিমাণ আর্থিক জরিমানা করা হয়। তারপরও হোটেলটিতে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়নি। এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় একাধিকবার রিজেন্সি হোটেল এন্ড রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কবির রেজার মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
গুলশান বিভাগের উপকমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রিজেন্সিকে একটি নোটিস দেয়া হয়েছিল। আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। নির্দেশ অমান্য করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক
ফজলুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে, সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব’।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়