ই-কমার্স নিয়ে অভিযোগের পাহাড় ভোক্তা অধিদপ্তরে : বর্তমানে ভোক্তায় অভিযোগ ২২ হাজার, ৩ মাসে অভিযোগ বেড়েছে ৯ হাজার

আগের সংবাদ

মিলছে টিকা, করোনায় স্বস্তি : তবুও মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি, নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত

পরের সংবাদ

এনএসডিআই বাস্তবায়নে এক প্ল্যাটফরমে সব ডাটা : সেমিনারে বক্তারা

প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ১০, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : জাতীয় বিশেষ তথ্য ভাণ্ডার অবকাঠামো (এনএসডিআই) শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর এবং জাইকা বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। সেমিনারে বক্তারা বলেন, এনএসডিআই বাস্তবায়িত হলে ভূ-স্থানিক ডাটা প্রস্তুতকারী সব প্রতিষ্ঠানের ডাটা একই প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের সার্ভেয়ার জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাবিবুল হক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এনএসডিআইর জিও পোর্টালে বিভিন্ন ভূ-স্থানিক ডাটা প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলো তাদের নিজ নিজ ডাটা সংরক্ষণ করতে পারবে এবং সেবা প্রত্যাশী সংস্থা/ব্যক্তিরা তাদের চাহিদা মতো নিয়মনীতি অনুসরণ করে সেসব ডাটা ব্যবহার করতে পারবে। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন জাইকা বাংলাদেশের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ হায়াকাওয়া ইয়োহো এবং জাইকা চিফ এডভাইজর বোকুরো উরাবে। জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি তার বক্তব্যে বাংলাদেশে এনএসডিআই বাস্তবায়নে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে এনএসডিআইর সফল বাস্তবায়নে তিনি জাপান সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সেমিনারের প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে এনএসডিআই প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর ও জাইকা এনএসডিআই বাস্তবায়নে কাজ করছে। তবে সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত অংশীজন প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা ছাড়া এনএসডিআইর সফল বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তিনি এ বিষয়ে সব অংশীজন প্রতিষ্ঠানের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, এনএসডিআই বাস্তবায়িত হলে ভূ-স্থানিক ডাটা প্রস্তুতকারী সব প্রতিষ্ঠানের ডাটা একই প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষণ সম্ভব হবে এবং ডাটাগুলো সহজে বিনিময়যোগ্য হবে। এর ফলে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একই কাজের পুনরাবৃত্তি রহিত হবে, সরকারের আর্থিক সাশ্রয় হবে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশে উত্তরণ অত্যন্ত সহায়ক হবে।
কি-নোট স্পিকার হিসেবে ভূ-স্থানিক ডাটার খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী।
এছাড়া এনএসডিআইর ভূমিকা ও অগ্রগতির ওপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. মফিজুর রহমান এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক মঞ্জুরুল হাসান।
ভূ-স্থানিক ডাটা এনএসডিআইর অগ্রগতি ও সিস্টেম ডেভেলপমেন্টের বিষয়টি তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল কালাম। ভূ-স্থানিক ডাটা প্রস্তুতকারী ৩১টির বেশি সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর প্রতিনিধিরা সেমিনারে উপস্থিত থেকে এনএসডিআই এবং এর খসড়া নীতিমালা সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়