ঢাকা সেনানিবাসে এনআইডি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

আগের সংবাদ

যশোর বোর্ডের হিসাব থেকে আড়াই কোটি টাকা উত্তোলন : জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

পরের সংবাদ

হুন্দাই রোটেমের নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সংযোজন : প্রথম ট্রিপেই মাঝপথে বন্ধ হলো নতুন ইঞ্জিন

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চুক্তিভঙ্গ করে দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য ১০টি ইঞ্জিনে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সংযোজন করে সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইঞ্জিনে নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সংযোজনের অভিযোগ ওঠার পর গত ১৪ মাসেও যন্ত্রাংশ বদল করেনি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটি। এ অবস্থায় ত্রæটিপূর্ণ ইঞ্জিনগুলোই গত ৪ অক্টোবর গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
কিন্তু ইঞ্জিনগুলো গ্রহণ করার পর এরই মধ্যে একটি ইঞ্জিন প্রথম ট্রিপেই সংযোজন করে গত ৬ অক্টোবর একটি ট্রেনে সংযোজন করলে পথেই ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। রেল সূত্র জানায়, গত ৬ অক্টোবর রাতে ইঞ্জিনটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা মেইল ট্রেনে সংযোজন করা হয়। পরদিন সকালে ইঞ্জিনে ত্রæটি থাকায় চলন্ত ট্রেনটি ঢাকার তেজগাঁওয়ের কাছে এসে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে ট্রেনটি কমলাপুর রেলস্টেশনে নিয়ে আসা হয় বলে রেল সূত্রে জানা যায়।
রেল সূত্র জানায়, এসব ত্রæটিপূর্ণ ইঞ্জিন ২০২০ সালে দেশে আনার পর গত বছর আগস্টে ইঞ্জিনগুলো পরীক্ষা করে ত্রæটি ধরা পড়ে এবং চুক্তি অনুযায়ী যন্ত্রাংশ না দেয়ায় তা গ্রহণ করেননি তৎকালীন প্রকল্প পরিচালক। ওই সময় অভিযোগ ওঠার পর রেলপথ মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটি তদন্ত করে শর্ত লঙ্ঘন করে ইঞ্জিনগুলোয় নিম্নমানের যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হয়েছে এমন প্রমাণ পায়। অলটারনেটর পরিবর্তন, না হয় জরিমানা- এই শর্তে ইঞ্জিনগুলো গ্রহণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বাংলাদেশ রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, সরবরাহ করা ১০টি ইঞ্জিনে টিএ ১২ মডেলের অলটারনেটর সংযোজনের শর্ত ছিল। চুক্তিভঙ্গ করে ইঞ্জিনগুলোয় টিএ৯ মডেলের অলটারনেটর সংযোজন করেছে হুন্দাই রোটেম। এগুলো নিম্নমানের অলটারনেটর। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইঞ্জিনগুলো প্রয়োজনে ব্রডগেজে পরিচালনা করার জন্য রূপান্তর করা যাবে না। এগুলোর সক্ষমতা কম।
তবে এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গতকাল শুক্রবার মুঠোফোনে ভোরের কাগজকে বলেন, ইঞ্জিনগুলো আমরা গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে কোনো ইঞ্জিন রাস্তায় খারাপ বা বন্ধ হয়েছে এমন খবর আমার জানা নেই। ইঞ্জিনগুলো যে চুক্তি বা শর্তাবলি দিয়ে অর্ডার দেয়া হয়েছিল তাতে কোনো সমস্যা নেই।
ইঞ্জিনের শর্তাবলি ঠিক আছে। তবে ইঞ্জিন কেনাকাটায় কাগজে কিছু সমস্যা রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রসঙ্গত, ১০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) কেনার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ও হুন্দাই রোটেমের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৭ মে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়