ঢাকা সেনানিবাসে এনআইডি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

আগের সংবাদ

যশোর বোর্ডের হিসাব থেকে আড়াই কোটি টাকা উত্তোলন : জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

পরের সংবাদ

বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় ধামরাই পৌরসভার প্রধান সড়ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই (ঢাকা) থেকে : ঢাকার একটি উপজেলা ধামরাই। গত কয়েক দিনের একটানা মুশলধারে বৃষ্টিপাতে ধামরাই প্রথম শ্রেণির মডেল পৌরসভার প্রধান সড়ক ও বাজারটি ডোবায় পরিণত হয়ে উঠছে। বর্ষা মৌসুম ধরেই এমন পরিস্থিতি হয়েছে।
এই সড়কটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাই ঢুলিভিটা থেকে মাধববাড়ি ঘাট পর্যন্ত মহাব্যস্ত থাকে যানবাহন, পথচারী ও হাজারো গার্মেন্ট শ্রমিকের চলাচলের কারণে। এই নোংরা পথ দিয়েই মন্দির-মসজিদে যেতে হয় সবাইকে।
ব্যবসায়ীরা দোকান গুটিয়ে বসে থাকেন জলাবদ্ধতার কারণে। ফুটপাতের শত শত কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী পানিতে দাঁড়িয়ে থেকে বেচাকেনা করছেন।
স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রধান সড়কটি পানিতে ডুবে থাকায় মাদক ও ফেনসিডিলের বোতল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের এলপি গ্যাসের বোতলও পানিতে ভাসে ধামরাই প্রথম শ্রেণির পৌর প্রধান বাজার সড়কে।
প্রতি বছর এই ধামরাই প্রধান সড়কের ওপর বিশাল পৌর বাজার থেকে অর্ধকোটি টাকার বেশি ইজারা আসে। এছাড়া পাঁচ শতাধিক অবৈধ ও লাইসেন্সহীন অটো ও ইঞ্জিনচালিত রিকশা থেকে ইজারা আসে পৌরসভায় আরো অর্ধকোটি টাকা। এরপরও প্রশস্ত সড়কের দুপাশে ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি ড্রেন নির্মাণ হয়েছে ৪ বছর আগে। সেই ড্রেন নোংরা আর্বজনায় ভরে যাওয়ার কারণে বৃষ্টির পানিসহ বাজারের পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়ির পয়ঃনিষ্কাশন সামান্য বৃষ্টিতে উপচে পড়ে বাজার সড়কে। পানিতে রাস্তাটি তলিয়ে থাকে কয়েক ঘণ্টা।
এতে সর্বশ্রেণির ব্যবসায়ীদের ও হাঁটুরেসহ সব শ্রেণির পথচারীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর পরও ইজারাদারদের দৌরাত্ম্য সঠিকভাবেই চলে। পৌর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এক থেকে দুই ঘণ্টার বৃষ্টির পানিতে পৌরসভার প্রধান প্রশস্ত বাজার সড়ক পানিতে ডুবে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। পৌরসভার প্রবেশমুখে ও প্রধান সড়কের যাত্রাবাড়ী স্থলে থৈ-থৈ করে পানি। ফলে ব্যবসায়ীরা ক্রেতার উপস্থিতির অভাবে লোকসানের মধ্যে পড়ছেন। বৃষ্টি হলে আসন্ন সারদীয় উৎসব আনন্দ মøান হবে বলে আশঙ্কা করছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এছাড়া অন্যতম প্রধান সড়ক থানা মেডিকেল ও বড় বাজার সড়কটি খানাখন্দে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দ্রুত এর সুষ্ঠু সমাধানের জোর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী, পথচারী ও যানবাহন চালকরা।
অথচ প্রতি বছর এই পৌর বাজার থেকে অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব আদায় করছে পৌরসভা। গোজামিলে উন্নয়নের ফলেই এমন পরিবেশের রূপ নিয়েছে বলে এলাকাবাসী মনে করেন। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, পৌর কর্তৃপক্ষ পূজার আগেই এর সংস্কার করে পথগুলো চলাচলের যোগ্য করবে। শিক্ষক সানোয়ার হোসেন বলেন, বাজারে আসছি কোনো কিছু ক্রয় করতে পারছি না, বৃষ্টিতে আটকা পড়ে আছি।
ধামরাই বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মো. সফিউদ্দিন বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই ড্রেনের পানি সড়কে উঠে ডুবে যায়। পৌরসভা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। ফলে চরম লোকসানের মধ্যে পড়তে হচ্ছে আমাদের। আবার স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ভিজে যেতে হয়। লোকশূন্য হয়ে পড়ে গোটা এলাকা। কর্মস্থলে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পেরিয়ে যায় বিভিন্ন পেশার মানুষ ও গার্মেন্ট কর্মীরা।
পৌর এলাকার কান্দিকুল, বিজয় নগর, চন্দ্রাইল, খাতরা, বড় চন্দ্রাইল, ছয়বাড়িয়া এলাকায় পানিতে নিচু এলাকা ডুবে যায়। এসব এলাকার সড়কগুলোতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগও বেড়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়