ঢাকা সেনানিবাসে এনআইডি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন

আগের সংবাদ

যশোর বোর্ডের হিসাব থেকে আড়াই কোটি টাকা উত্তোলন : জালিয়াতির অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

পরের সংবাদ

দেবীর কাছে যে প্রার্থনা…

প্রকাশিত: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: অক্টোবর ৯, ২০২১ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দুর্গাপূজা বাঙালি জীবনে উৎসবের বার্তা নিয়ে আসে। তবে করোনার কারণে দুবছর ধরে পূজা হচ্ছে অনেক সীমাবদ্ধতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে। আগামী ১১ অক্টোবর শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা।
এ উৎসব ঘিরে বিনোদন পাড়ায় রয়েছে নানা আয়োজন। এবারের পূজায় দেবীর কাছে তারকাদের কী প্রার্থনা, পূজা নিয়ে পরিকল্পনা, ছোটবেলার পূজার স্মৃতি, খাবার-দাবার
এসব নিয়ে কথা বলেছেন বিনোদন জগতের কয়েকজন তারকা। গ্রন্থনা : রেজা শাহীন

দেবীর ‘চক্ষুদান’ আমার জীবনের স্মৃতিময় ঘটনা
প্রাণ রায়

পূজার দিনগুলোতে শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকবেন অভিনেতা প্রাণ রায়। তবে পূজার দিনগুলোতে নতুন নতুন পোশাক পরবেন। বাসায় লুচি, সবজি ইত্যাদি খাবার রান্না করবেন। পূজার অনেক স্মৃতি আছে তার। ছোটবেলায় পূজা নিয়ে ভীষণ ব্যস্ত থাকতেন। পূজা আসার এক মাস আগে থেকে উদগ্রীব থাকতেন কবে পূজা হবে, কবে প্রতিমা রং করবে। প্রতিমা রং করার সময় কাছে থাকতেন। কীভাবে চোখ আঁকে, নাক আঁকে, কী ধরনের রং ব্যবহার করে এসব বিষয়ে কৌতূহল ছিল ছোটবেলা থেকেই। পাড়ার সবার সঙ্গে অঞ্জলি দেয়া, রিকশা নিয়ে ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে বের হওয়াটাকে মিস করেন। প্রাণ রায় বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমি আঁকাআঁকি করতাম। একবার পূজায় আমি দেবীর চক্ষু আঁকার সুযোগ পেয়েছিলাম। এটা একটা স্মরণীয় ঘটনা। এবার পূজায় দেবীর কাছে করোনামুক্ত পৃথিবী চাইছি।

পৃথিবী যেন আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যায়
বিদ্যা সিনহা মীম

অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মীম অন্যান্য বার ঢাকাতে পূজা উদযাপন করলেও এবারের পূজা করবেন রাজশাহী মামা বাড়িতে। পরিবারের সঙ্গেই পূজার সময়টা কাটাতে চান তিনি। ঢাকায় থাকলে ঠাকুর দেখতে যাওয়া ছাড়া পূজার দিনে তেমন একটা আয়োজন থাকে না মীমের। তবে ঢাকার বাইরে থাকলে পরিবারের সঙ্গে হৈ-হুল্লোড়ে মেতে থাকেন সারাদিন, বাইরে ঘুরতে যাওয়া হয় সবার সঙ্গে। পূজায় অনেক ধরনের খাবারের আয়োজন থাকে বাড়িতে। তবে মীমের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ঠাকুরের ভোগ। ছোটবেলায় স্মৃতি মনে করে মীম বলেন, এখনকার পূজায় যেই জিনিসটা খুব মিস করি সেটি হলো নৌকাবাইচ। কয়েক বছর ধরে নৌকাবাইচ দেখার সুযোগ হয় না। পূজার দিনে কটনের সুতি কামিজ এবং শাড়ি পরেন মীম। দেবীর কাছে এবার তার চাওয়া থাকবে, পৃথিবী যেন আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যায়।

পূজার আনন্দটা আগের মতো উপভোগ করতে পারি না
পূজা চেরী

একসময় খুলনার গাজীরহাটে নিজেদের বাড়িতে পূজা উদযাপন করতেন অভিনেত্রী পূজা চেরী। ওইখানে বড় পরিসরে পূজার আয়োজন করা হতো। গেল কয়েক বছর ধরে ঢাকাতেই পূজা করা হয় তার। বর্তমানে ঢাকার বাইরে শুটিংয়ে ব্যস্ত আছেন তিনি। পূজার সময়টায় ঢাকা থাকবেন। দুদিন থেকে ফের শুটিংয়ে ফিরবেন। ছোটবেলার পূজা সম্পর্কে তিনি বলেন, ছোটবেলার পূজার আনন্দটা এখন আর নেই। সেই দিনগুলো খুব মিস করি। আমাদের বাড়ির উঠানে সবচেয়ে বড় মন্ডপ হতো। মিডিয়ায় কাজ শুরু করার পর থেকে মন্ডপে গেলে অনেকেই আমাকে চিনে ফেলেন। ছবি তুলতে চান। ব্যাপারটা উপভোগ করি। দুবছর ধরে করোনার কারণে খারাপ সময় পার করছি আমরা। তাই দেবীর কাছে আমার প্রার্থনা, পৃথিবীর সবার যেন মঙ্গল হয়। পৃথিবী যেন আবার আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।

ঠাকুমার দুই টাকা করে দেয়াটাকে মিস করি
মনোজ প্রামাণিক

অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক এবারের পূজা করবেন বাবা-মার সঙ্গে। মনোজের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায়। গ্রামেই থাকবেন পূজার সময়টায়। মনোজের মা পূজার দিনে সবজি, লুচি, মাছ ইত্যাদি রান্না করেন। এগুলো তার প্রিয় খাবার। মায়ের হাতের রান্না ছাড়া পূজার আনন্দটা ঠিক জমে না তার। এই দিনগুলো ডায়েট-টায়েট একদম ভুলে যান। পূজার সময় পাঞ্জাবি, শার্ট পরতে পছন্দ করেন। পূজায় উপহার পাওয়ার পাশাপাশি পরিবার-পরিজন আত্মীয় স্বজনদেরকে উপহার দিয়ে থাকেন তিনি। ছোটবেলার পূজার স্মৃতিচারণ করে মনোজ প্রামাণিক বলেন, খুব ছোটবেলায় ঠাকুমা দুই টাকা করে দিতেন আমাদের। সেই টাকা দিয়ে আমরা বাজারে গিয়ে এটা সেটা কিনে খেতাম। ঠাকুমা বেঁচে নেই। তার দুই টাকা করে দেয়াটাকে খুব মিস করি। আর বাড়িতে গেলে ঠাকুমার স্মৃতিগুলো খুব মনে পড়ে।

দেবীর কাছে প্রার্থনা, আমার মা যেন সুস্থ থাকে
ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর

এবারের পূজার সপ্তমীতে কক্সবাজার থাকবেন অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। অষ্টমী, নবমী, দশমীতে থাকা হবে ঢাকায়। দুটি সিঙ্গেল এবং একটা ধারাবাহিক নাটকের কাজে ঢাকার বাইরে যাচ্ছেন তিনি। পূজার দিনে শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। খেতে ভালোবাসেন মায়ের হাতের রান্না।
তবে পূজার আনন্দের মধ্যে শূণ্যতা অনুভব করেন এখন। বাবাকে হারানোর পর থেকে পূজায় আর আগের মতো মজা করতে ইচ্ছে করে না তার। সব ভীড় ছাপিয়ে বাবাকে খুঁজে ফেরেন তিনি। বাবা মারা যাওয়ার আগে শেষবার পূজায় তাকে পাঁচটি শাড়ি কিনে দিয়েছিলেন। প্রতিটি শাড়িই ছিল তার ভীষণ পছন্দের। সে শাড়িগুলো এখনো পূজায় পরার চেষ্টা করেন। দেবীর কাছে চাওয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেবীর কাছে প্রার্থনা করবো করোনা যেন তাড়াতাড়ি চলে যায় এবং আমার মা যেন সুস্থ থাকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়